1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘এটা ইসলাম নয়, এটা হারাম’’

২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর জঙ্গিদের কাছে আটক নারী ও শিশুদের যৌন দাস হিসেবে ব্যবহারের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ তবে কেউ কেউ এই খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন৷

https://p.dw.com/p/1EAXU
Irak vom IS verschlepptes Mädchen
আইএস এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ১৫ বছরের এক ইয়াজিদি তরুণীছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Bennett

৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারী, যারা আইএস-এর কাছ থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডোনাটেলা রোভেরা জানান, ‘‘বন্দিদের মধ্যে যারা যৌন দাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের অনেকেরই বয়স ১৪, ১৫ কিংবা তার চেয়েও ছোট৷''

অ্যামনেস্টির এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর টুইটার ব্যবহারকারীরা নিন্দা ও বিস্ময় প্রকাশ করেন৷ কেউ কেউ আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়ার কথাও বলেন৷

ওয়ালিদ বাবর মনে করেন, সব ধরনের অত্যাচারের ঘটনা সেটা যেই করুক না কেন তার নিন্দা করা উচিত৷

মালিক জাভেদ ইকবালের মন্তব্য, এটা ইসলাম নয়, এটা হারাম৷

শানেওয়াজ লিখেছেন, ‘‘এটি একটি অপরাধ৷ আমাদের এর বিরোধিতা করা উচিত৷ নারীদের নিজের ইচ্ছেমতো জীবনযাপনের অধিকার দেয়া উচিত৷''

আইএস বা আইসিস-এর কর্মকাণ্ডে বিস্ময় প্রকাশ করে আসিফ খান লিখেছেন, মহানবি (সা:) তার সমর্থকদের শান্তির শিক্ষা দিয়েছেন৷

এদিকে, ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে আটক কেউ কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

তবে এটাকে পশ্চিমের ‘প্রোপাগ্যান্ডা' বলে মনে করছেন সাঈদ মির্জা৷

তানিয়া মুনির এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ ১৯৯২ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় কুয়েতকে সমর্থনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে যে কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছিল তা উল্লেখ করে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন৷

এদিকে, অ্যামনেস্টিকে উদ্দেশ্য করে মাশাল খান লিখেছেন, ‘‘ইরাকের মসুলে মালিকি সরকারের সময় এক হাজারেরও বেশি বন্দি নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লেও তোমরা নীরব ছিলে, আর এখন মিথ্যা বলছো৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য