1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অসুখী সমাপ্তি মানে খারাপ শুরু

২২ জানুয়ারি ২০১৮

এসপিডি দলের সম্মেলনে জোট সরকার গড়ার পক্ষে মত এসেছে৷ তারপরও দল এখন বিভক্ত৷ এর চেয়েও খারাপ খবর হচ্ছে, সম্মেলনে ভোটের ফল দুর্বল নেতৃত্বের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে, মনে করেন ডিডাব্লিউর সাবিনে কিনকার্ৎস৷

https://p.dw.com/p/2rI17
ছবি: Reuters/W. Rattay

জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দল, এসপিডির প্রধান মার্টিন শুলৎস যেন দলের বর্তমান অবস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন৷ সম্মেলনে দেয়া তাঁর এক ঘণ্টার বক্তব্যে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু ছিল না৷ পরে ভোটের সময় সম্মেলনে উপস্থিত ৬০০ প্রতিনিধির মধ্যেও একই প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷

বছরখানেক আগে ইউরোপীয় সংসদের প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে এসপিডির প্রধান হয়ে দলের মধ্যে গতির সঞ্চার করেছিলেন শুলৎস৷ কিন্তু এক বছর পর তাঁর পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে আছে৷

এদিকে, এসপিডির তরুণ কর্মীদের সংগঠনের জোট গঠন নিয়ে বিরোধিতার বিষয়টি অনেক ডেলিগেটের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই ছড়িয়ে পড়েছিল বলা যায়৷ যদিও এসপিডির অনেক শীর্ষ নেতা তরুণদের এই বিরোধিতাকে ‘অপ্রয়োজনীয় প্রতিবাদ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন৷ ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ ডেলিগেট জোটের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন৷ আর ৫৬ শতাংশ প্রতিনিধি দলীয় প্রধানের জোট গড়ার সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানান৷

রবিবারের ফলাফল তরুণ নেতৃবৃন্দসহ জোটের বিরোধিতাকারীদের ভবিষ্যতে শীর্ষ নেতাদের আরও বিরোধিতা করার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলবে৷ কারণ, শেষ পর্যন্ত দলের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ সদস্যের ভোটে সরকার গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে৷

আন্দ্রেয়া নালেস: শীর্ষনেতা হিসেবে ভালো?

এসপিডি দলে দেখা দেয়া বিভাজন দিন দিন আরও বাড়বে৷ দলের মধ্যে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দু'টি অংশ একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে৷ দুই অংশই তাঁদের নিজেদের পক্ষে জোরালো যুক্তি দিতে সক্ষম৷ কিন্তু দুটোর ক্ষেত্রেই ঝুঁকি আছে৷ কারণ, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের সঙ্গে জোট গঠন করলে এসপিডি দূর্বল হয়ে পড়তে পারে৷ আবার নতুন নির্বাচন হলেও দলটির একই পরিমাণ দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ এই পরিস্থিতির আসলে কোনো আদর্শ সমাধান নেই৷ এটি আসলে একটি উভয় সংকট৷

Kinkartz Sabine Kommentarbild App
সাবিনে কিনকার্ৎস, ডিডাব্লিউ

মার্টিন শুলৎস এই সংকট থেকে দলকে উদ্ধার করতে পারবেন কিনা, তা এখনও অজানা৷ জার্মান সংসদে এসপিডিকে নেতৃত্ব দেয়া আন্দ্রেয়া নালেস এক্ষেত্রে হয়ত শুলৎসের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারবেন৷ রবিবারের সম্মেলনে দেয়া তাঁর বক্তব্য শুলৎসের চেয়ে শক্তিশালী ছিল৷ তাঁর বার্তা অনেক ডেলিগেটের মন জয় করেছে৷ নালেস বলেছেন, জোট গড়ার আলোচনায় শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবে এসপিডি৷

প্রস্তরখন্ড, নাকি শক্ত জায়গা?

ডেলিগেটদের কেউই আসলে হৃদয় থেকে জোট গড়ার পক্ষে নন৷ যাঁরা পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা দুটি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে একটু ভালোটাকে বেছে নিয়েছেন৷ এরপর এসপিডির সাড়ে চার লক্ষ সদস্য যে ভোট দেবেন, তাঁদেরও একটি প্রস্তরখন্ড ও একটি শক্ত জায়গার মধ্যে যে-কোনো একটিকে বেছে নিতে হবে৷

কিন্তু এরকম বিভাজিত একটি দল কীভাবে একটি দেশকে শাসন করবে? গত কয়েক বছর ধরে এসপিডি ক্রমেই দূর্বল হয়ে পড়ছে৷ তাই তাদের সতর্ক হতে হবে৷ বলা যায়, তাঁরা কিছুটা ‘অসুখী’৷ কিন্তু এসপিডি যদি এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোটাররা এসপিডির উপর আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে৷

সাবিনে কিনকার্ৎস/জেডএইচ