‘এইডস মোকাবিলায় চীনকে আরও কাজ করতে হবে’
৭ ডিসেম্বর ২০১৪চীনের ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমিশন' বলছে, অক্টোবর পর্যন্ত চীনে এইডস রোগীর সংখ্যা ছিল চার লক্ষ ৯৭ হাজার৷ এক বছর আগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল চার লক্ষ ৩৪ হাজার৷ অর্থাৎ এক বছরে এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬৩ হাজার৷
ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যার্নহার্ড শোয়ার্টলান্ডার এইডস মোকাবিলায় চীন সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন৷
ডয়চে ভেলে: চীনের এইচআইভি পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার কী মন্তব্য?
ব্যার্নহার্ড শোয়ার্টলান্ডার: সাধারণ চীনা নাগরিকের মধ্যে এইডস সংক্রমণের হার কম, ০.০৬ শতাংশ৷ তবে যৌনমিলনের মাধ্যমে, বিশেষ করে পুরুষের সঙ্গে পুরুষের এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এইডস সংক্রমণের হার বাড়ছে৷
এইডস মোকাবিলায় চীন সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে?
গত প্রায় এক দশকে দেশজুড়ে সাতশো-র মতো নিডল এক্সচেঞ্জ ও মেথাডন ক্লিনিক স্থাপন করেছে সরকার, যেটা খুবই প্রশংসনীয়৷ ফলে ইনজেকটিং ড্রাগ ইউজারদের মধ্যে এইডস সংক্রমণের হার অনেক কমে গেছে৷
চীনের নেয়া মেথাডন থেরাপি যে শুধু দেশটিতে এইডস সংক্রমণের হার কমিয়েছে তাই নয়, বিশ্বের অন্য দেশের জন্যও তারা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে৷
এছাড়া যাঁরা এইডস রোগী তাদের চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ দেয়ার ক্ষেত্রেও উন্নতি করেছে চীন৷ তবে আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে৷
নতুন এইডস সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চীনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?
নিরাপদ যৌনমিলন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে৷ বিশেষ করে যৌনমিলনের সময় যেন শতভাগ ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করা উচিত সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে৷
চীনের মতো দেশে কারও এইডস হলে তাদের কলংকের চোখে দেখা হয়৷ এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
চীনা ফার্স্ট লেডি পেং লিউয়ান ও প্রধানমন্ত্রী লি কোচিয়াং, দু'জনেই এইচআইভি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যক্তিগতভাবে জড়িত৷ বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি শক্ত বার্তা পৌঁছে দিয়েছে৷ তাই হয়ত চীনের এইডস রোগীরা অন্য দেশের তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থায় আছেন৷ তবে এইডস রোগ সম্পর্কে মানুষকে যথেষ্ট শিক্ষিত করে তুলতে পারলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব৷