এই পাঁচ তারকা যে কারণে ক্রিসমাসকে ঘৃণা করেন
বিরক্তি, বিষণ্ণতা, সামাজিক চাপ বা খারাপ উপহার পাওয়া – কোনো উৎসবের ক্ষেত্রে এই যদি হয় আপনার মনোভাব, তাহলে এই পাঁচ তারকা আপনারই মতন৷ পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই উৎসবকে কেন তাঁরা ঘৃণা করেন, জানুন ছবিঘরে৷
হিউ গ্রান্ট
ক্রিসমাস নিয়ে জনপ্রিয় মুভি ‘লাভ অ্যাকচুয়েলি’-র অভিনেতা তিনি৷ কিন্তু বার্ষিক এই উৎসবটি নিয়ে জনপ্রিয় এই তারকার মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই৷ শুধু তাই হয়, ক্রিসমাসের কোলাহল থেকে বাঁচতে তিনি এ সময় মুসলিম দেশগুলোতে অবসর কাটান৷ সঙ্গে থাকেন বাবা, যিনি নিজেও অপছন্দ করেন বড়দিন৷
নোয়েল গ্যালাগা
ওয়েসিস ব্র্যান্ডের সাবেক এই সদস্য তাঁর খারাপ মেজাজের জন্য সুপরিচিত৷ তাই তিনি যে ক্রিসমাস পছন্দ করবেন না, সেটা ধরেই নেয়া যায়৷ অথচ তাঁর ফরাসি নাম ‘নোয়েল’-এর অর্থ উদযাপন৷ বিস্কুট বানানোর চেয়ে সেদিনটা তিনি চিপস খেয়েই কাটিয়ে দেন৷ এমনকি স্যান্টা ক্লস যে আসলে কী, সেটা তিনি তাঁর মেয়েকে খুব ছোটবেলাতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন৷
মারিয়ঁ কটিয়ার
ফরাসি এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী ক্রিসমাসে উপহার দেয়ার ঘোর বিরোধী৷ আসলে একেবারেই বড়দিন পছন্দ করেন না তিনি৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকেই ক্রিসমাস তাঁকে আকর্ষণ করে না৷ নিজের মা যখন ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে তাঁর কোনো ‘উইশ’ আছে কিনা জানতে চাইতেন, তখনও মারিয়ঁ নাকি বলতেন যে তাঁর কিছু চাইবার নেই৷
কার্ল লাগেরফেল্ড
জার্মান ফ্যাশন জগতের এই কিংবদন্তিকে যাঁরা চেনেন তাঁরা নিশ্চয়ই এটা শুনে আশ্চর্য হননি৷ সাপ্তাহিক পত্রিকা ভেল্ট আম সনটাগকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি কখনোই ক্রিসমাস উদযাপন করেন না৷
বব গেলডফ
১৯৮৪ সালে তাঁর গাওয়া ‘ডু দে নো ইটস ক্রিসমাস?’ ব্যাপক হিট হয়েছিল৷ বিক্রির তালিকায় শীর্ষে ছিল গানটি৷ ইথিওপিয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই গানটি গাওয়া হয়৷ আর ৩০ বছর পরও গানটির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি৷ তবে এখন রাস্তায় যখন নিজের এই গান শোনেন, তখন বিরক্ত হন শিল্পী৷ এমনকি যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা তাঁর গাওয়া সবচেয়ে বাজে গান৷