1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শাসক দলই ফিরে এসেছে

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১ মার্চ ২০১৩

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্য – ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয় বিধানসভা ভোটের ফলাফল গেছে রাজ্যগুলির শাসক দলের পক্ষে৷ ত্রিপুরায় বামেরা পেয়েছে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা৷

https://p.dw.com/p/17oij
প্রতীকী ছবিছবি: dapd

ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে৷ ৬০টি আসনের মধ্যে ৫০টি তাদের ঝুলিতে৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই নিয়ে পর পর চারবার মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন৷ কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১০টি আসন৷ রাহুল গান্ধীর পরিবর্তনের ডাক ত্রিপুরার বাম দুর্গে আঁচড় পর্যন্ত কাটতে পারেনি৷ ত্রিপুরায় বামেদের জয় বাম সংগঠনকে জাতীয় রাজনীতিতে ফের প্রাসঙ্গিক করে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

ত্রিপুরায় বামেদের একাধিপত্যের ম্যাজিক মন্ত্রটা কী ? রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিশ্বনাথ চক্রবর্তী মনে করেন, ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস জমানার অপশাসন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, এই নির্বাচনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানিক সরকার এবং বাম নেতাকর্মীরা সেই অপশাসনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তাঁদের৷ দ্বিতীয়ত, মানিক সরকার রাজ্যে শান্তি এনেছেন, উপজাতি ও অনুপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘর্ষ বন্ধ করে৷ অর্থাৎ শান্তি স্থাপনের কৃতিত্বটা গেছে বামেদের৷ তৃতীয়ত, কেন্দ্রের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে ত্রিপুরা একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বিশেষ করে সামাজিক প্রকল্পগুলির জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ আদায় করতে পেরেছে এবং সেই অর্থ যথাযথ কাজে লাগিয়েছে৷

নাগাল্যান্ডে শাসক জোট নাগা পিপলস ফ্রন্ট পেয়েছে ৬০টি আসনের মধ্যে ৩৯টি আসন৷ একটি আসনে ভোট হয়নি৷ রাজ্যে কংগ্রেসের পরাজয়ের অন্যতম কারণ নেতৃত্বহীনতা৷ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক চক্রবর্তী বললেন, সাবেক কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী এস.সি জামিরের পর বিভিন্ন নাগা উপজাতি গোষ্ঠীর নেতাদের কংগ্রেসের ছাতার তলায় আনার মত নেতার অভাবই কংগ্রেসের পরাজয় ডেকে আনে৷

মেঘালয়ে অবশ্য একক বৃহত্তম দল হিসেবে গদি ধরে রাখতে পেরেছে শাসক দল কংগ্রেস, তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি৷ ৬০টি আসনের মধ্যে পেয়েছে ২৯টি৷

পশ্চিমবঙ্গে তিনটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল, কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক একটি করে আসনে জিতেছে৷ তৃণমূল প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি৷ পেলে বোঝা যেত সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা, যেমন পুলিশ কর্মীর খুনে তৃণমূল নেতার জড়িয়ে পড়া, নারী নিগ্রহের একাধিক ঘটনা এবং দলীয় কোন্দল রাজ্যে মানুষের মনে দাগ কাটতে পারেনি৷ আর সেটা আগামী পঞ্চায়েত ভোটে কাজে লাগতো৷ কিন্তু তা হয়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য