1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘উগ্রপন্থিদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে আওয়ামী লীগও'

২৭ এপ্রিল ২০১৮

নিজেদের অসাম্প্রদায়িক হিসেবে দাবি করা আওয়ামী লীগও উগ্রপন্থিদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে লেখকদের সংগঠন পেন-এর জার্মান শাখার বার্ষিক সম্মেলনে৷ আলোচক ছিলেন দুই বাংলাদেশি ব্লগার ও লেখক৷

https://p.dw.com/p/2wo9p
PEN-Konferenz 2018
ছবি: PEN-Zentrum Deutschland

জার্মানির গ্যোটিঙেন শহরে বৃহস্পতিবার এই সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়৷ সেখানে প্রথমদিনের আলোচনা শুরু হয় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে৷ উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্লগার, লেখক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও মুক্তচিন্তার মানুষদের ওপর বেশ ক'য়েকটি সাম্প্রদায়িক হামলা দৃষ্টি কেড়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের৷

নিহত হয়েছেন অনেকেই৷ সর্বশেষ হামলাটি হয়েছে ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর৷ তবে তিনি বেঁচে গেছেন৷ 

এ সব হামলায় বেশ কয়েকজন ব্লগার জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আশ্রয় পেয়েছেন৷ গ্যোটিঙেনে চার দিনের সম্মেলনের প্রথম দিনের আলোচনার বিষয় ছিল, ‘ধারালো অস্ত্রের কোপ থেকে বাঁচতে'৷ অংশ নিয়েছেন জার্মানিতে আশ্রিত দুই বাংলাদেশ ব্লগার ও লেখক৷ তাঁরা হলেন অর্পিতা রায়চৌধুরী ও জোবায়েন সন্ধি৷

PEN-Konferenz 2018
অর্পিতা রায়চৌধুরীর সঙ্গে অনুবাদক শাহাবুদ্দিন মিয়াছবি: PEN-Zentrum Deutschland

আলোচনায় একটি প্রবন্ধের কিছুটা পাঠ করেন অর্পিতা৷ সেখানে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখন বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল যে তাদের ওপর আর কোনো হামলা অত্যাচার হবে না৷ কিন্তু সেই আশায় গুঁড়েবালি৷ বরং এ আমলে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের হামলা রেকর্ড ছাড়িয়েছে৷

‘‘আস্তে আস্তে তাদের (আওয়ামী লীগের) চরম সাম্প্রদায়িক রূপ বেরিয়ে আসতে শুরু করে, এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো আওয়ামী লীগও কট্টর, উগ্র ও ধর্মান্ধ ইসলামিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি করতে থাকে৷''

ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করতে গিয়ে একজন হিন্দু ও নারী হিসেবে দেশে চরম অবমাননার শিকার হতে হয়েছে বলে জানান অর্পিতা৷ তিনি বলেন, লেখালেখির মাধ্যমেই সমাজ বদলাতে চান তিনি৷

‘‘আমি সমাজ পরিবর্তনের জন্য অনলাইন মাধ্যমে কাজ করছি৷ নারীদের সচেতন করার জন্য লেখালেখি করে যাচ্ছি৷'' বলেন অর্পিতা৷

PEN-Konferenz 2018
জোবায়েন সন্ধিছবি: PEN-Zentrum Deutschland

জোবায়েন সন্ধি মনে করেন, রাজনীতির বাইরে গিয়ে বাংলাদেশে উগ্রপন্থাকে দেখার সুযোগ নেই৷ ‘‘বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দলই উগ্রপন্থিদের ব্যবহার করে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য৷'' বলছিলেন তিনি৷

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে প্রগতিশীল চিন্তাচেতনা অতীতের তুলনায় আরো বাড়ছে৷ তিনি তাঁর ব্লগ দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান৷

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে যারা মুক্তিচন্তার মানুষ আছেন, বিশেষ করে যাঁরা ব্লগে লেখালেখি করেন, তাঁদের অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷

আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশের একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন জার্মান ইন্সটিটিউট ফর পলিসি অ্যান্ড সিকিউরিটি'-র গবেষক ক্রিস্টিয়ান ভাগনার৷ সেখানে তিনি আওয়ামী লীগকে সংস্কৃতি ও ভাষা জাতীয়তাবাদে এবং বিএনপিকে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী দল হিসেবে উল্লেখ করেন৷

প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য