1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়েমেনে অবরোধ শিথিলের প্রতিশ্রুতি

২৩ নভেম্বর ২০১৭

ত্রাণ সহায়তার জন্য ইয়েমেনের মূল বিমানবন্দর ও দুটি পোর্ট খুলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি-নেতৃত্বাধীন জোট৷ এ মাসের শুরুর দিকে রিয়াদে মিসাইল হামলার প্রতিবাদে ইয়েমেনের স্থল, আকাশ ও সমুদ্র পুরোপুরি বন্ধ করা হয়৷

https://p.dw.com/p/2o7aK
ছবি: Reuters/K. Abdullah

জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতিসংঘের বিমানের জন্য রাজধানী সানার বিমানবন্দরটি খুলে দেয়া হবে৷ হোডেইডার রেড সি পোর্ট দিয়েও আনা যাবে ত্রাণ৷ কিছুদিনের মধ্যে ইয়েমেনের আরেক বন্দর সালেফও খুলে দেয়া হবে বলে জানান জাতিসংঘের সহ-মুখপাত্র ফারহান হক৷ তবে, এসব পথে ঠিক আগের মতোই পণ্য পরিবহন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা৷ অবরোধ পুরোপুরি তুলে নেয়া হবে কিনা সে বিষয়েও জোটের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি৷

ফারহান হক বলেন, ‘‘এ ধরনের অগ্রগতিগুলো আমরা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি৷ যদি এগুলো হয়, তবে আমরা তা স্বাগত জানাবো৷ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এসব অগ্রগতি৷ আমরা পরিস্কারভাবে পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরেছি৷’’

এ মাসের শুরুর দিক থেকে কঠোরভাবে জারি হওয়া এ অবরোধের ফলে ইয়েমেনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের আশংকা প্রকাশ করে আসছে জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের হিসাব মতে, ইয়েমেনের প্রায় ৭০ লাখ মানুষ খাদ্য সহায়তার উপর নির্ভরশীল৷ প্রায় ৪০ লাখ মানুষের জন্য খাবার পানি ও জ্বালানি সরবরাহ করাও প্রয়োজন৷

‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর পক্ষ থেকে জোটের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানানো হলেও সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে এ পদক্ষেপ খুব একটা কার্যকর হবে না  বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, ‘‘ইয়েমেনের প্রয়োজনের তুলনায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা খুবই সামান্য৷ এখানকার অধিবাসীদের মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়া খুবই জরুরি৷’’

সম্প্রতি ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হুতি বিদ্রোহীরা৷ এরপরই স্থল, আকাশ ও সমুদ্র পথে অবরোধ আরোপ করে সৌদি জোট৷  তবে, অবরোধ আরোপের আগে থেকেই খাদ্য সংকটে ভুগছিল দেশটি৷ ইয়েমেনের আমদানির ৮০ শতাংশই থাকে খাবার৷

আরএন/এসিবি (এপি, রয়টার্স, ডিপি, এএফপি)