1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইয়েতি সম্ভবত সাদা ভালুক’

৩ জুলাই ২০১৪

এরপর যদি শোনেন, হিমালয় ছিল উত্তর মেরুতে, তাহলে কিন্তু নাক কোঁচকাবেন না! ডিএনএ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে: ইয়েতি, বিগ ফুট, আলমস্তি অথবা ওরাং পেন্ডেক-এর মতো কিংবদন্তির প্রাণীরা আসলে কী ছিল৷

https://p.dw.com/p/1CUVn
এটি সম্ভবত ইয়েতির একটি পায়ের ছাপ৷ পর্বতারোহী এরিক শিপটন ১৯৫১ সালে এই ছবিটি তুলেছিলেন৷ছবি: picture-alliance/dpa

জরিপটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইজারল্যান্ডের লোসান-এ প্রাণিবিজ্ঞান সংগ্রহশালার একটি যৌথ উদ্যোগ৷ ২০১২ সালের মে মাসে অক্সফোর্ডে জেনেটিক্সের প্রফেসর ব্রায়ান সাইক্স-এর নেতৃত্বাধীন একটি গবেষক দল বিভিন্ন মিউজিয়াম ও একক সংগ্রাহকদের প্রতি আবেদন জানান, তাদের কাছে সংরক্ষিত ‘‘ইয়েতির লোম''-এর নমুনা পাঠাতে৷

বিজ্ঞানীরা অবশ্য ইয়েতি না বলে ‘‘অ্যানোমেলাস প্রাইমেট'' বলবেন, অর্থাৎ স্তন্যপায়ী জীবদের সর্বোচ্চ শ্রেণির যাবতীয় নিয়মবহির্ভূত বা ব্যতিক্রমী সদস্য – এক কথায় হিমালয়ের ইয়েতি, উত্তর অ্যামেরিকার বিগ ফুট, মধ্য এশিয়ার অলীক মানব আলমস্তি, কিংবা সুমাত্রা দ্বীপের পাহাড়-জঙ্গলের দু'পেয়ে হোমিনিড ওরাং পেন্ডেক৷ এরা সবাই কিংবদন্তির জীব, কিন্তু মাঝেমধ্যে মানুষজনকে দেখা দিয়ে থাকেন, হয় বাস্তবে, নয়তো কল্পনায়৷

মানবজাতির বিবর্তনের পথে নেয়ান্ডারটাল থেকে শুরু করে অনেক অধস্তন শাখা-প্রশাখা প্রাগৈতিহাসিক ছায়াপথে হারিয়ে গিয়েছে৷ এমনকি গিগান্টোপিথেকাস নামের এক অতিকায় বানরের নামও শোনা যায়৷ ইয়েতি সেই গোছের কিছু হবে বলে এতোদিন ধরে নেওয়া হতো৷ কিন্তু এবার পরীক্ষাগারে ইয়েতির লোম, রোম, চুল বা রোঁয়ার ৩০টি নমুনার জিন সিকোয়েন্সিং করে দেখা গেছে - নাঃ, সে কাহিনি শুনলে ‘‘ক্রিপ্টোজুওলজি'' অর্থাৎ ‘‘গুপ্ত প্রাণিবিদ্যা''-য় বিশ্বাসীরা হয়তো আঘাত পাবেন৷

তা সত্ত্বেও বলছি: না, না, ইয়েতি-ফিয়েতি সব ফাঁকি নয়৷ ঐ যে বললাম না, ইয়েতি না থাকলেও, ফিয়েতি তো রইলই৷ তবে ফিয়েতি-ও – কী বলব – আসলে একটা ভালুক, তবে শ্বেতভল্লুক বা তার কোনো উত্তরসুরি, ভারতের লাদাখ এবং ভুটান থেকে পাঠানো ইয়েতির চুলের নমুনায় ঠিক সেই ডিএনএ-ই পাওয়া গিয়েছে৷ সব মিলিয়ে, হিমালয়ের চূড়ায় উত্তরমেরুর জীব, সেটাই বা কম কিসের? ইয়েতির রোমের যে তিনটি নমুনা পাঠানো হয়েছে গবেষকদের কাছে, তার মধ্যে একটি নমুনা নাকি বিশ্বখ্যাত পর্বতারোহী রাইনহোল্ড মেসনার'এর তাঁবে ছিল৷

অপরদিকে আলমস্তির যে আটটি নমুনা পাঠানো হয়েছে, সেগুলি ব্রাউন বেয়ার গোত্রীয় ভালুক ছাড়া গরু, ঘোড়া এবং রাকুন নামধারী জীবটির৷ ওরাং পেন্ডেক-এর যে একটিমাত্র নমুনা পাঠানো হয়েছিল: সেটি ছিল মালয়েশিয়ার টাপির নামধারী প্রাণিটির৷ মার্কিন মুলুক থেকে স্বভাবতই সবচেয়ে বেশি নমুনা এসেছিল তাদের বিখ্যাত ‘বিগ ফুট'-এর৷ সেগুলোর মধ্যে ভালুক থেকে শুরু করে শজারু, এমনকি এক শ্বেতাঙ্গ মানবের ‘রোঁয়া'-ও পাওয়া গিয়েছে!

এসি/এসবি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য