1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌন দাসীদের জন্য ন্যায়বিচার

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর যে সব যোদ্ধা ইয়াজিদি নারী ও শিশুদের দাস করে রেখেছে, হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, তাদের বিচার চান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী ও হলিউড অভিনেতা জর্জ ক্লুনির স্ত্রী আমাল ক্লুনি৷

https://p.dw.com/p/1K6zL
প্রতীকী
ছবি: Fotolia/DW

লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের ব্যারিস্টার ক্লুনি ইসলামপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক দায়রা আদালতের সামনে পেশ করতে চান৷ গত জুন মাসেই তিনি ঘোষণা করেন যে, তিনি ইরাকে ইয়াজিদি মহিলাদের মামলা হাতে নিচ্ছেন৷

সোমবার আমাল ক্লুনি মার্কিন এনবিসি টেলিভিশন সংস্থাকে বলেন যে, আইসিস মানুষজনকে ব্রেইনওয়াশ করছে, এবং তা প্রতিরোধ করার একটি পন্থা হল, আইসিস-এর নির্মমতা ও দুর্নীতিকে তুলে ধরা, যা মামলার শুনানির মাধ্যমে সম্ভব৷ এমনকি ১১-১২ বছরের কিশোরীদের নিয়ে কী করা হয়েছে, তার বয়ান শুনেছেন ক্লুনি৷ কাজেই তিনি ‘‘যে কোনো মূল্যে'' এই মামলা চালিয়ে যাবেন, বলে ক্লুনি জানান৷ দৃশ্যত তিনি তাঁর স্বামী হলিউড তারকা জর্জ ক্লুনির সঙ্গে এর ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করেছেন৷

যারা প্রাণে বেঁচেছেন

তাদের মধ্যে নাদিয়া মুরাদ বাসি তাহা-র নাম করা যেতে পারে, যাকে জাতিসংঘ সদ্য গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডার হিসেবে নিয়োগ করেছে৷ তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছেন৷

২০১৪ সালের আগস্ট মাসে নাদিয়াকে ইরাকে তাঁর গ্রাম থেকে ধরে নিয়ে যায় আইসিস জঙ্গিরা৷ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মোসুলে, যেখানে নাদিয়া ও অপরাপর হাজার হাজার ইয়াজিদি নারী ও শিশুকে যৌন খেলনার মতো আদানপ্রদান করেছে জঙ্গিরা৷ নাদিয়াকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় ও বারংবার ধর্ষণ করা হয়৷

সোমবার এনবিসি-র সাক্ষাৎকারে আমাল ক্লুনির পাশে ছিলেন নাদিয়া তাহা৷ তার আগের শুক্রবার তাঁকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের মুখ্য কার্যালয়ে মানবপাচারের শিকারদের জন্য সদিচ্ছার দূত হিসেবে নিয়োগ দেয় জাতিসংঘ৷ সেই অনুষ্ঠানে আমাল ক্লুনি বলেন, ‘‘নাদিয়ার মতো মেয়েদের শরীর যে বিক্রি করা হয় ও রণাঙ্গণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এ জন্য আমি নারী হিসেবে লজ্জিত৷''

স্বামী জর্জ ক্লুনির সঙ্গে আমাল ক্লুনি
স্বামী হলিউড তারকা জর্জ ক্লুনির সঙ্গে আমাল ক্লুনিছবি: Getty Images/AFP/A. Solaro

নাদিয়া নিজে সেই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘হয়ত এটা আমার সৌভাগ্য যে, কালে আমি পালানোর সুযোগ পেয়েছি, হাজার হাজার অন্য (মেয়েরা) যা পারেনি৷ তারা আজও বন্দি আছে৷'' জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেন, ২০১৫ সালে তিনি যখন প্রথম নাদিয়ার কাহিনি শোনেন, তখন তাঁর চোখে জল এসে গিয়েছিল৷ শুক্রবারেও নাদিয়া সেই প্রায় ৩,২০০ ইয়াজিদি নারী ও কিশোরীদের মুক্তির ডাক দেন, যারা আজও আইসিস জঙ্গিদের হাতে যৌন দাসী হিসেবে বন্দি হয়ে রয়েছে৷

নাদিয়া বলেন, তাঁর আশা একদিন এই ইয়াজিদি নারী ও শিশুরা ‘‘দ্য হেগ-এর আদালতে তাদের নিপীড়নকারীদের দিকে তাকিয়ে দুনিয়াকে শোনাতে পারবে, ওরা আমাদের কি করেছে, যাতে আমাদের (ইয়াজিদি) সম্প্রদায় নিরাময় হতে পারে৷''

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান