1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশি আইনজীবী নিখোঁজ

২ এপ্রিল ২০১৮

যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী এবং ইসলামি উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে মামলা লড়েছেন, এমন এক বাংলাদেশি আইনজীবী নিখোঁজ রয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2vMy2
ছবি: DW/M. M. Rahman

রথিশ চন্দ্র ভৌমিক নামের ওই আইনজীবী শুক্রবার সকালে তাঁর রংপুরের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেননি৷ সেই থেকে তাঁর আর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না৷ ফলে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছে পুলিশ৷

২০১৫ সালে রংপুরের এক মাজারের খাদেম ইসলামি জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন৷ মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী জঙ্গিদল জামায়েতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র ৭ সদস্যকে ওই মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়৷ রথিশ চন্দ্র ভৌমিক সেই মামলার সরকারপক্ষীয় আইনজীবী ছিলেন৷

এছাড়া তিনি জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যামামলারও প্রধান সরকারি কৌসুলি ছিলেন৷ সেই মামলাতেও ২০১৫ সালে ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়৷  

জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষীও ছিলেন রথিশ৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজহারুলের ফাঁসির রায় হওয়ার পর বর্তমানে মামলাটি আপিল বিভাগে রয়েছে৷

রথিশের অন্তর্ধানে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল আইনজীবী ও মানবাধিকার কমীর্রা৷ শিগগিরই তাঁকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷

রথিশ চন্দ্র ভৌমিকের সাথেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকারী সরকারপক্ষীয় আরেক কৌসুলি আবদুল মালেক বলেন, ‘‘আমরা উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত৷'' 

রংপুর অঞ্চলের পুলিশ প্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মামলা চলার সময় পুলিশ নিরাপত্তা দিতে চাইলেও রথিশ চন্দ্র ভৌমিক তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন৷

তিনি বলেন, ‘‘তাঁর উপর হুমকির খবর আমাদের কাছে ছিল না৷ তাঁর পরিবার শুক্রবার রাতেই রথিশের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে থানায় ডায়েরি করেছে৷''

প্রথম সারির নেতা ও সংগঠকদের মৃত্যুদণ্ডের পর ২০০৭ সালে আবার সংগঠিত হতে শুরু করে জেএমবি৷ সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের প্রতি আক্রমণ, ভিন্ন মতালম্বী ব্লগার এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের প্রতি হামলার অভিযোগ উঠেছে উগ্রপন্থি এ সংগঠনটির বিরুদ্ধে৷ কিছু হামলার দায় তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে৷         

২০১৬ সালের জুলাই মাসে রাজধানী ঢাকায় গুলশান এলাকার এক রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ১৮ জন বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যা করে একদল জঙ্গি, যাঁরা নিজেদের ইসলামিক স্টেটের সদস্য বলে দাবি করেছিল৷ ওই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত ৭০ জনেরও বেশি ইসলামি উগ্রপন্থি নিহত হয়েছে৷

এইচআই/ এসিবি (এএফপি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)