1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের উপর চাপ বাড়াচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলি

১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইইউ ইরানের বিরুদ্ধে নতুন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ জি-সেভেনও মতুন উদ্যোগ নিচ্ছে৷ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা না বাড়ানোর লক্ষ্যে কূটনৈতিক উদ্যোগও চলছে৷ ইসরায়েলের সংযমের স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/4eu8h
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন
জি-সেভেনের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালির কাপ্রি আইল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনছবি: Ciro De Luca/REUTERS

গত শনিবার ইসরায়েলের উপর হামলা চালিয়ে ইরান এখনো পর্যন্ত পালটা হামলা থেকে রেহাই পেলেও আন্তর্জাতিক স্তরে আরো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ এড়াতে পারছে না সে দেশ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা বুধবার ইরানের উপর আরো নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এর ফলে সে দেশের ড্রোন ও মিসাইল কোম্পানিগুলির কার্যকলাপ চাপের মুখে পড়বে৷ শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেনও ইরানের অস্ত্র সরবরাহকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রস্তাব বিবেচনা করছে৷

ইরানের হামলার নিন্দা করে এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি সমর্থনের অঙ্গীকার জানিয়ে ইইউ নেতারা সব পক্ষের উদ্দেশ্যে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, ইরানের উপর বড় আকারে ইসরায়েলের পালটা হামলা না চালানো জরুরি৷ উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলি ইরানের বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েলের সংযমের আশা করছে৷ তবে বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়ামের মূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে আপাতত ইরানের তেল রপ্তানির পথে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে না পশ্চিমা দেশগুলি৷ সেটা করলে চীনও রুষ্ট হতে পারে৷

শুধু ইসরায়েলের উপর হামলার কারণে নয়, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে ইরান যেভাবে হামলাকারী দেশ হিসেবে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করে চলেছে, ইইউ তার পথে বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে৷ একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে সেই প্রবণতা মোকাবিলার চেষ্টা চলছে৷ এবার সেগুলির আওতা বাড়িয়ে মিসাইল সরবরাহ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ‘প্রক্সি' শক্তিগুলিকেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের আওতায় আনতে চাইছে ইইউ৷ তবে ইরানের শক্তিশালী রেভোলিউশনরি গার্ড কর্পস বাহিনীকে ইইউ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার উদ্যোগ আইনি জটিলতার কারণে এখনো সফল হচ্ছে না৷ কোনো ইইউ সদস্য রাষ্ট্র সেই বাহিনীর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার প্রমাণ পেলে তবেই সেটা সম্ভব হবে বলে শীর্ষ কর্মকর্তারা মনে করছেন৷

ইসরায়েলের উপর পালটা হামলা না চালানোর চাপ থাকলেও সে দেশ কতকাল সংযম দেখিয়ে যাবে, সে বিষয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে৷ ইসরায়েল ও মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী শনিবারের হামলার পর ইরানের উপর পালটা হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে নি৷ ইসরায়েলের কান সম্প্রচার কেন্দ্রের সূত্র অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু পূর্ব পরিকল্পিত পাল্টা হামলার পরিকল্পনা বাতিল করেন৷ অ্যামেরিকার এবিসি নেটওয়ার্কের সূত্র অনুযায়ী গত সপ্তাহে কমপক্ষে দুই রাত্রে ইরানের উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল৷ তবে নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল একাই নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে৷ তার মতে, আত্মরক্ষার জন্য যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত তার দেশ৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)