1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান সমৃদ্ধিকরণের জন্য ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাতে রাজী

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০

বিশ্বশক্তিদের সৃষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী ইরানের নিম্ন সমৃদ্ধির ইউরেনিয়াম রাশিয়ায় সমৃদ্ধিকৃত এবং ফ্রান্সে জ্বালানিতে রূপান্তরিত হয়ে ইরানে ফিরবে৷ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমদিনেজাদ এবার তা’তে সম্মতি জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/Lq8A
ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা (স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি)ছবি: AP

গত অক্টোবরে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ এই প্রস্তাব দেয় এবং সে-যাবৎ ইরান তার বিরোধিতাই করে এসেছে৷ এবার আহমদিনেজাদ ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ইরানের পশ্চিমকে তার নিম্ন সমৃদ্ধির ইউরেনিয়াম দিতে এবং কয়েক মাস পরে তা ২০ শতাংশ সমৃদ্ধিকরণ সহ ফিরে পেতে কোনো ‘‘সমস্যা'' নেই৷ ইরানি অবস্থানের এই আমূল পরিবর্তনের কারণ হিসেবে আহমদিনেজাদ শুধু আভাস দেন, যে সম্প্রতি আলাপ-আলোচনায় সংশ্লিষ্ট কিছু দেশের সঙ্গে ইতিবাচক কথাবার্তা হয়েছে৷ এবং এই দেশগুলি যে রাশিয়া এবং চীন, বিশ্লেষকরা তা ধরেই নিচ্ছেন৷

ইরান কতোদূর

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর বিভাগের প্রধান ডেনিস ব্লেয়ার মার্কিন কংগ্রেসকে প্রদত্ত একটি লিখিত জবানবন্দিতে বলেছেন যে, ইরান প্রযুক্তিগতভাবে ‘‘আগামী কয়েক বছরের'' মধ্যে আণবিক অস্ত্র তৈরী করার মতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণের ক্ষমতা রাখে, তবে তেহরানের সেই ‘‘রাজনৈতিক ইচ্ছা'' আছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ এছাড়া ইরানের মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাধিক বেশী সংখ্যক ব্যালিস্টিক মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্রের উপযোগী রকেট আছে, এবং ইরান তার ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলির মান, পাল্লা এবং আধুনিকীকরণ চালিয়ে যাচ্ছে, বলেন ব্লেয়ার৷ - অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানি হুমকির মোকাবিলা করতে উপসাগরে এবং তার আশেপাশে স্থল- ও নৌ-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রণালীগুলি বাড়িয়ে চলেছে৷ এ'জন্য কুয়েত, কাতার, ইউএই এবং বাহরেনে আরো পেট্রিয়ট রকেট বসানো হচ্ছে৷

শাস্তি এড়ানো

প্রসঙ্গত, ডেনিস ব্লেয়ার এ'ও বলেছেন যে, ইরান সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক তথা মার্কিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রভাব এড়ানোর জন্য চীন এবং ভেনেজুয়েলা থেকে গ্যাসোলিন পাবার প্রচেষ্টা করছে৷ মার্কিন কংগ্রেস ইরানের বিরুদ্ধে যে সব ব্যাপক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বিবেচনা করছে, তার মধ্যে ইরানকে গ্যাসোলিন রপ্তানির উপর বাধানিষেধ অন্যতম৷

বন্দীবিনিময়

এছাড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমদিনেজাদ মঙ্গলবার বলেছেন যে, ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য বন্দীবিনিময় নিয়ে আলোচনা করছে৷ এক্ষেত্রে সাত মাস আগে অবৈধভাবে ইরানে অনুপ্রবেশের জন্য গ্রেপ্তারকৃত তিনজন মার্কিন হাইকারের কথাও উল্লেখ করেন আহমদিনেজাদ৷ অপরদিকে ইরান যুক্তরাষ্ট্রে ধৃত ১১ জন ইরানির মুক্তিতে আগ্রহী, যাদের মধ্যে এক পরমাণু বিজ্ঞানীও আছেন৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম