1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরান চুক্তি বর্জন করতে চলেছেন ট্রাম্প?

৬ অক্টোবর ২০১৭

আগামী ১২ই অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বাকি স্বাক্ষরকারী দেশ ও ইরান অবশ্য চুক্তিটি চালু রাখতে পারে৷

https://p.dw.com/p/2lJYz
ছবি: Reuters/Y.Gripas

শুরু থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ইরানের সঙ্গে ৬ দেশের পরমাণু চুক্তি বাতিল করারও হুমকি দিয়ে চলেছেন তিনি৷ এই চুক্তির কড়া সমালোচনা সত্ত্বেও ইরান সেই চুক্তি অমান্য করছে, এমন কোনো প্রমাণ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন ট্রাম্প৷ এবার তিনি এই চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন৷ তাঁর মতে, ইরান এই চুক্তির ‘স্পিরিট’ বা মূলমন্ত্র অমান্য করছে৷ দেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে এক বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে তিনি বলেন, ইরানের প্রশাসন সন্ত্রাসবাদে মদত এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে হিংসা ও অরাজকতা রপ্তানি করে চলেছে৷ তাই ইরানের ধারাবাহিক আগ্রাসী মনোভাব ও পরমাণু অস্ত্র তৈরির স্বপ্ন বন্ধ করতে হবে৷ এ সংক্রান্ত কড়া নীতির পূর্বাভাষ দিয়ে ট্রাম্প বলেন, শীঘ্রই ইরান সম্পর্কে ঘোষণা আসতে চলেছে৷ সম্ভবত ১২ই অক্টোবর ট্রাম্প চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা করতে পারেন৷

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেসকে জানাতে হবে, ইরান পরমাণু চুক্তি মেনে চলছে কিনা৷ ৯০ দিন পর পর কংগ্রেসকে এই মর্মে জানানো মার্কিন প্রশাসনের দায়িত্ব৷ ট্রাম্পের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা মনে করেন, ইরান চুক্তির শর্ত মানছে না৷ সেই বক্তব্য আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করলে কংগ্রেসকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ সেখানে দুই কক্ষেই রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে৷ ৬০ দিনের মধ্যে কংগ্রেস ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷

তবে অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মতো ইরানের প্রশ্নেও ট্রাম্প প্রশাসনে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে পড়ছে৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ও জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের সভাপতি জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড এই চুক্তি চালু রাখতে চান৷ ইউরোপীয় কূটনীতিকরাও ট্রাম্প প্রশাসনকে চুক্তি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন৷ কারণ, তাঁদের আশঙ্কা, অ্যামেরিকা এককভাবে এই চুক্তি থেকে সরে এলে ইরান সে দেশের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনে আবার আগের পথে ফিরে যেতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের জটিল পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়বে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে যাবে৷

চুক্তির বাকি স্বাক্ষরকারী দেশগুলি এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি চাইছে না৷ ওবামা প্রশাসন, রাশিয়া ও চীন ছাড়াও ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে এই চুক্তি সম্ভব করেছিল৷ ইরান অক্ষরে অক্ষরে চুক্তির শর্ত মেনে চলায় সে দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো কারণ নেই৷ ইরানের অন্যান্য নীতি পরমাণু চুক্তির আওতায় পড়ে না৷

ইরান অবশ্য বাকি স্বাক্ষরকারীদের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে চুক্তি মেনে চলার ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ এভাবে তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে একঘরে করে ফেলতে চায়৷ সে ক্ষেত্রে ইরানের অর্থনৈতিক সুবিধাগুলিও বজায় থাকবে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

জুলাই ৭ তারিখের ছবিঘরটি দেখুন...