ইভানকার জুতো তৈরি হয় চীনে
২৪ জুলাই ২০১৭সিএনএন ও অপরাপর পশ্চিমা মিডিয়ায় সমালোচনার ধারাটা দ্বিবিধ৷ প্রথমত, চীনে জুতো তৈরির কারখানাগুলিতে দীর্ঘ কাজের সময়, কম পারিশ্রমিক, সংকীর্ণ পরিবেশ ইত্যাদির দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে ও সেই সঙ্গে ইভানকা ট্রাম্পের মতো কোম্পানিগুলি যে অপেক্ষাকৃত চড়া দামে সেই সব জুতো পশ্চিমে বিক্রি করে থাকে, তার তুলনা করা হচ্ছে৷
দ্বিতীয়ত, ইভানকার পিতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে চীনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গীরণ করে আসছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইভানকা ট্রাম্পের কোম্পানি যে চীনের একাধিক কারখানায় জুতো তৈরি করিয়ে থাকে – এই পরস্পরবিরোধিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷
তৃতীয় একটি দৃষ্টিকোণও যে আছে, সেটা বোঝা যায় ‘গ্লোবাল টাইমস'-এর ভিডিও রিপোর্টটা দেখলে৷ পত্রিকাটির মালিক চীনের ‘পিপলস ডেইলি' ও এক হিসেবে ‘গ্লোবাল টাইমস' ইংরেজিতে আন্তর্জাতিক পাঠকমহলের জন্য চীনের অভ্যন্তরীণ খবরাখবর পেশ করে থাকে৷
সেই ‘গ্লোবাল টাইমস' পত্রিকা দক্ষিণ চীনের গুয়ানডং প্রদেশের ডংগুয়ান শহরে রিপোর্টার পাঠিয়ে ইভানকা ট্রাম্পের কোম্পানির জন্য জুতো তৈরি করে, এমন একটি কারখানার বিবরণ দিয়েছে৷ সিএনএন-এর মতো এই ভিডিও রিপোর্টেও জুতো তৈরির বিভিন্ন পর্যায় ও প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে – শুধুমাত্র শ্রমিকদের খাবার বা থাকার জায়গা বাদে৷
‘গ্লোবাল টাইমস'-এর মহিলা রিপোর্টার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে, গুচ্চি অথবা মার্ক ফিশার-এর মতো বড় বড় ব্র্যান্ডের জুতোও এই কারখানাতে তৈরি হয়৷ কিন্তু ইভানকা ট্রাম্পের কোম্পানির জন্য জুতো তৈরি নিয়ে এ ধরনের কোম্পানিগুলিকে মাত্রাতিরিক্ত ‘মিডিয়া অ্যাটেনশান' সহ্য করতে হচ্ছে, যার ফলে কারখানাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা সহ তিনজন কর্মীর চাকরি গেছে, কেননা তারা একজন বিদেশি ফটোগ্রাফারকে বিনা অনুমতিতে কারখানার শ্রমিকদের ছবি তুলতে দিয়েছিলেন৷
রিপোর্টের শেষে অনামা বিশেষজ্ঞদের দোহাই দিয়ে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সব ঘোষণা সত্ত্বেও, ‘‘ইভানকার জুতো তৈরি করার'' মতো চাকরিগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে হয় না৷
অপরদিকে সিএনএন-এর রিপোর্ট শেষ হচ্ছে এক মার্কিন বিশেষজ্ঞের এই ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে যে, ট্রাম্প চীন থেকে আসা পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ালে ইভানকার জুতো তৈরির কাজ বাংলাদেশ কিংবা ভিয়েতনামে চলে যাবে৷
এসি/ডিজি