1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেটে রাজনৈতিক দল

২১ এপ্রিল ২০১২

রাজনৈতিক দলগুলো এখন তাই অন্তর্জালে তাদের উপস্থিতি দিন দিন জোরালো করছে৷ তবে এই ক্ষেত্রে এখনও বেশ পিছিয়ে তারা৷ দুয়েকটি রাজনৈতিক দল ছাড়া, বাকিদের কোনো অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নেই৷

https://p.dw.com/p/14f2d
http://bangladeshnationalistparty-bnp.org/ http://www.albd.org/ http://ldp-bangladesh.org/
Screenshots dreier bengalischer, politischer Webseiten

আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইন্টারনেট এবং সামাজিক গণমাধ্যমে তাদের উপস্থিতি রাখছে৷ তাদের মধ্যে অন্যতম সরকারি দল আওয়ামী লীগ৷ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই দলটি বরাবরই গণমাধ্যম ঘেঁষা দল হিসেবে পরিচিত৷ ইন্টারনেটেও তাদের সক্রিয় কার্যক্রম চোখে পড়ে৷

www.albd.org এটা হলো দলটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ঠিকানা৷ বাংলা এবং ইংরেজিতে ওয়েবসাইটটি বেশ সমৃদ্ধ৷ দলটির পরিচিতি ও ইতিহাসের পাশাপাশি দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যক্রমের নিয়মিত সংবাদ ওয়েবসাইটটিতে আপলোড করা হয়৷ রয়েছে বেশ কিছু ই-বুক ডাউনলোড করার সুবিধা৷ এছাড়া দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার সবই পাওয়া যায় ওয়েবসাইটটিতে৷ তাই তাদের সঙ্গে কেউ যদি যোগাযোগ করতে চায় তাহলে ওয়েবসাইটটির সহায়তা নিতে পারে৷

তবে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটটি পিছিয়ে আছে৷ তাদের ফেসবুক পেজটিতে মাত্র সাড়ে পাঁচশ ‘লাইক' রয়েছে৷ তবে ওয়েবসাইটে তাদের নতুন সংযোজন অনলাইন রেডিও৷ এই বিষয়ে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূহ উল আলম লেনিন বলেন, ‘‘আমাদের এই অপশনটিতে মাঝে মধ্যে গান আপলোড করা হয়৷ তবে এতে সংবাদ এবং প্রতিবেদন দিতে হলে আমাদের একটা স্টুডিও দরকার৷ এটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে৷ একটা স্টুডিও হয়ে গেলে আমরা এই অনলাইন রেডিও পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারবো৷''

বিএনপি

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.bangladeshnationalistparty-bnp.org৷ ওয়েবসাইটটি খুললেই বেশ রঙ্গীন মনে হবে৷ ইংরেজি ভাষাতে এই ওয়েবসাইটটি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে বেশ সক্রিয় বলে মনে হয়েছে৷ তাদের ফেসবুক পেজ-এ ‘লাইক'-এর সংখ্যা সাড়ে ছয় হাজারের বেশি৷ ওয়েবসাইটটিতে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নানা সংবাদ নিয়মিত আপডেট করা হয়৷

এছাড়া রয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী৷ তবে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান সম্পর্কে মাত্র আট লাইন লেখা আছে৷ এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে প্রধান বিরোধী দল৷ এছাড়া ওয়েবসাইটটির অনেক অপশনই পূর্ণাঙ্গ নয় কিংবা নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করলে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান জানান, ‘‘দলীয় ওয়েবসাইটের চেয়ে তারা তাদের সমর্থক ওয়েবসাইটগুলোতেই বেশি সক্রিয়৷ তাঁর দাবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তারা অন্য যে কোনো দলের চেয়ে বেশি সক্রিয়৷''

জাতীয় পার্টি

ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি৷ দলটি বর্তমান সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম দল৷ তা সত্বেও ইন্টারনেটে তাদের কোনো অবস্থান দেখা যায় না৷ জাতীয় পার্টির কোনো অফিসিয়াল ওয়েবসাইটও পাওয়া যায় নি৷ গুগলে সার্চ দেওয়ার পর যে ওয়েবসাইটটি আসে সেটা কোনো রাজনৈতিক দলে ওয়েবসাইট বলে মনে হয় না৷ ডিজিটাল দেশ গড়তে বদ্ধপ্রতিজ্ঞ বর্তমান জোট সরকারের শরিক দল জাতীয় পার্টির এই অবস্থা বেশ হতাশাজনক৷

জামায়াতে ইসলামী

সেই তুলনায় বিরোধী জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী অনেকটা এগিয়ে আছে৷ www.jamaat-e-islami.org নামে ওয়েবসাইটটি বাংলা এবং ইংরেজি দুটি ভাষাতেই সক্রিয়৷ এছাড়া আরবী ভাষারও একটি অপশন আছে ওয়েবসাইটে৷ দলটির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাই বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের মামলায় কারাগারে আটক৷ তাই ওয়েবসাইটটিতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের সব খবর আপলোড করা হয়৷ নিয়মিত আপডেট করা হয় জাতীয় পর্যায়ের খবরও৷ এছাড়া ভিডিও এবং সাক্ষাৎকার সহ নানা অপশন রয়েছে ওয়েবসাইটটিতে৷ নিজেদের আদর্শ প্রচারের জন্য বেশ সক্রিয় জামায়াতের এই সাইটটি৷

এর বাইরেও আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ওয়েবসাইট রয়েছে৷ যেমন কর্নেল অলি আহমেদের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এলডিপি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি৷ এলডিপি'র ওয়েবসাইটের বেশিরভাগ অপশনই নির্মাণাধীন রয়েছে৷ অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টির ওয়েবসাইটটিতে দলের নেতাদের কিছু সচিত্র এবং ভিডিও প্রতিবেদন ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য