1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইতিহাস গড়লো সোলার প্লেন

৮ জুলাই ২০১০

যেটুকু সন্দেহ ছিলো, তাও ঘুচে গেলো৷ প্রমাণ হয়ে গেলো, সোলার প্লেন রাতেও উড়তে সক্ষম৷ বিমানটি তার ঐতিহাসিক অভিযাত্রা শেষ করেছে৷ সফল উড্ডয়নের পর আজ সকালেই নেমেছে সুইজারল্যান্ডের পেয়ার্নে বিমান ঘাঁটিতে৷

https://p.dw.com/p/ODpo
এই সোলার প্লেন রাতেও উড়তে সক্ষমছবি: AP

২৪ ঘণ্টার আকাশ ভ্রমণ শেষ করে সকাল ৯টা ১ মিনিটে আন্দ্রে বোর্শব্যার্গ যখন ছোট্ট ওই বিমানটি নিয়ে অবতরণ করেন তখন সেখানে ছিলো উৎস্যুক মানুষের ঢল৷ সোলার প্লেনের স্বপ্নচারী বার্টার্ন্ড পিকার্ডের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিলো এ রকম- ‘‘এই প্রথম সোলার প্লেন রাতেও আকাশে ডানা মেলে থাকলো৷'' বোঝাই যাচ্ছিলো এই সাফল্যে ভীষণ খুশি তিনি৷

২০৭ ফুট লম্বা এই প্লেনটির ডানাগুলো বেশ বড়, এয়ারবাসের মতো৷ পুরো প্লেনটি ওজনে খুব বেশি নয়৷ একটি গাড়ির সমান৷ বুধবার সকালেই তা পেয়ার্নে থেকে আকাশে ডানা মেলে৷ এর বিচরণপথ ছিলো সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্স৷ রাতে সূর্য দেখা যায় না বলে ওই সময়টাতে বিমানটি কতখানি উড়তে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ ছিলো৷ যদিও দিনের আলো থেকে সৌরশক্তি সঞ্চয় করে রাখছিলো এটি৷

Klimaschutztechnologien Solarflugzeug Flash-Galerie
২০৭ ফুট লম্বা প্লেনটির ডানাগুলো বেশ বড়, এয়ারবাসের মতোছবি: picture-alliance/ dpa

সোলার প্লেন তৈরির উদ্দেশ্য সম্পর্কে পিকার্ড বললেন, ‘‘আমি চাই আকাশেও জ্বালানি ছাড়া উড়তে৷ জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়া যারা কিছু ভাবতে পারে না, তাদের বোঝাতে, চাইলেই অনেক কিছু সম্ভব৷'' মানুষ চাইলে যে অনেক কিছু সম্ভব তার জলন্ত উদাহরণ তো পিকার্ড নিজেই৷ এক যুগেরও বেশি সময় আগে বেলুনে করে পৃথিবী পরিভ্রমণের রেকর্ড গড়েন তিনি৷ রোমাঞ্চের নেশা আসলে পিকার্ডের রক্তে মিশে আছে৷ তাঁর বাপ-দাদারও ছিলো একই নেশা৷

এক সময়ের জেট বিমানের পাইলট বোর্শবার্গ আকাশে থাকলেও ভূমি থেকে তাকে সহায়তা করেন সাবেক নভোচারী ক্লদ নিকোলিয়ার৷ গত বৃহস্পতিবারই এর ওড়ার কথা ছিলো, তবে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে উড্ডয়ন পেছানো হয়৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ