1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোভিশনের পর ‘ওয়ার্ল্ডভিশন’ গানের প্রতিযোগিতা?

১৭ মে ২০১১

ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট’এর কার্যনির্বাহী পরিচালক জন ওলা সান্ড’কে সেরকম একটি প্রশ্ন করে রয়টার্স৷

https://p.dw.com/p/11HU3
ইউরোভিশনের মতো ওয়ার্ল্ডভিশন?ছবি: dapd

ইউরোপীয় গানের প্রতিযোগিতা এবার অনুষ্ঠিত হয় জার্মানির ড্যুসেলডর্ফ শহরে৷ সে অনুষ্ঠান টেলিভিশনে দেখেছেন বিশ্বের ৫৫টি দেশের মোট সাড়ে বারো কোটি মানুষ৷ দেখেছেন গতবারের বিজয়িনী লেনা মায়ার-লান্ডরুট কিভাবে দশম স্থান পেলেন, জিতলেন আজারবাইজানের গায়ক-গায়িকা জুটি এলি-নিক্কি৷ কিন্তু লেনাই শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে একটি বিশ্বব্যাপী গানের প্রতিযোগিতা বা ‘ওয়ার্ল্ডভিশন'-এর ধারণাটি তুলে ধরেন৷ মনে রাখা দরকার, লেনার বয়স ১৯৷ কে জানে, এটাই হয়তো আধুনিক বিশ্বের লক্ষণ৷

ইউরোভিশনের নরওয়েজীয় পরিচালক সান্ড একটি বিশ্বব্যাপী গানের প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব বলেই মনে করেন৷ তবে সেটা একটা সুবিশাল লজিস্টিকাল চ্যালেঞ্জ হবে বলে তাঁর ধারণা৷ অপরদিকে ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট যে ইউরোপের বিভিন্ন ঋণগ্রস্ত দেশের সমস্যাপীড়িত মানুষদের অন্তত মুহূর্তের সান্ত্বনা এনে দিয়েছে, সান্ড সেকথাই বলেন৷ ঋণসমস্যা যখন ইউরোপীয় সংহতির মূল ধরে টান দিচ্ছে, ঠিক তখনই ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা ইউরোপের মানুষকে আবার এক করেছে৷ তবে ‘ওয়ার্ল্ডভিশনের' কল্পনার খেয়া বেয়ে বিশ্বসংহতির আদর্শ অবধি যেতে দ্বিধা করেছেন সান্ড৷

Deutschland Musik ESC 2011 Eurovision Song Contest Finale Deutschland Lena
আইডিয়াটা এসেছিল লেনার মাথায়ছবি: dapd

সত্যি বলতে কি, ইউরোভিশন সং কন্টেস্টের সুনাম-দুর্নাম দুইই আছে৷ নাক-উঁচুরা এই ধরণের সস্তার, অনুকরণ-সৃষ্ট গানের, উদ্ভট সাজগোজ কি ঠুনকো স্টেজ শো'র ধারে-কাছে যেতে চান না৷ তাদের কাছে এটা হল প্রতিভাহীনতা এবং খেলো পছন্দের পরাকাষ্ঠা৷ অপরদিকে ইউরোপের বহু ছোট দেশের কাছে এই ইউরোভিশন সং কন্টেস্ট হল পাদপ্রদীপের আলোয় ঠিক বড় দেশগুলির মতোই আসার, এমনকি জেতার, একটা সুবর্ণ সুযোগ৷ আর মঞ্চটাও তো এখন ইউরোপ ছাড়িয়ে সুদূর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড, ক্যানাডা, মিশর, ভারত, জর্ডান, হংকং, কোরিয়া এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবধি ব্যাপৃত৷

স্বপ্নেই দেখা যাক, অনাগত কোনো ভবিষ্যতের ওয়ার্লডভিশন জিতছে বাংলাদেশের এক তরুণ গায়ক, গিটার হাতে, নতুন ধরণের পপ-বাউল গান গেয়ে...

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক