1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমস্যা নয়’

২৩ আগস্ট ২০১৬

যুদ্ধজাহাজে শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের কথা সহজে শোনা যায় না৷ কিন্তু সোমবার জার্মানি, ফ্রান্স ও ইটালির নেতারা ইউরোপের বর্তমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার জন্য এমন এক স্থান বেছে নিলেন৷

https://p.dw.com/p/1JnII
ম্যার্কেল, ওলঁদ, রেনসি
ছবি: picture-alliance/dpa/Bundesregierung/G. Bergmann

ব্রিটেনের মানুষ গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাবার পক্ষে রায় দিয়েছে৷ সে দেশের সরকার কবে, কীভাবে সেই রায় কার্যকর করবে অথবা আদৌ করবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হচ্ছে না৷

অন্য অনেক দেশেও ‘পপুলিস্ট' নেতারা তাদের জনমোহিনী বুলিতে অভিবাসন, অর্থনীতি ইত্যাদি সব সমস্যার জন্য ব্রাসেলসকেই দায়ী করছেন৷ এই অবস্থায় ইউরোপের ভবিষ্যৎ কী হবে? স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভা শহরে আগামী মাসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে ইউরো এলাকার তিন শক্তিশালী দেশের শীর্ষ নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় ভবিষ্যৎ গতিপথ নিয়ে আলোচনায় বসলেন৷ তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য – বিগত গত কয়েক দশকের মতো ইউরোপের বর্তমান সমস্যাগুলির জবাব একমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নই দিতে পারে৷

তাঁরা বর্তমান এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে দু'টি প্রতীকী কাজ করলেন৷ প্রথমে তাঁরা ইউরোপীয় ঐক্যের জনক হিসেবে পরিচিত ইটালির প্রয়াত বুদ্ধিজীবী আলটিয়েরো স্পিনেলির কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করলেন৷ তারপর তাঁরা ইটালির নৌবাহিনীর ‘জুসেপে গারিবাল্ডি' রণতরীতে মিলিত হলেন৷

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ এবং ইটালির প্রধানমন্ত্রী মাটেও রেনসি দুটি ক্ষেত্রে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেবার অঙ্গীকার করলেন৷ তাঁদের মতে, প্রথমত, সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার মুখে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে৷ দ্বিতীয়ত, ইউরোপের অনেক দেশে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে বেকারত্বের কারণে চরম হতাশার মুখে পড়েছে, সেই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে৷

ইটালির প্রধানমন্ত্রী রেনসি বলেন, অনেক পপুলিস্ট সব সমস্যার দায় ইউরোপের উপর চাপিয়ে দেন৷ ‘‘অভিবাসন ইউরোপের দোষ৷ অর্থনীতির বেহাল অবস্থা, সেটাও ইউরোপের দোষ৷ কিন্তু বাস্তবে মোটেই সেটা সত্য নয়'', বলেন তিনি৷ বেকারত্ব দূর করতে রেনসি'র উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ম্যার্কেল বলেন, ইউরোপীয় স্থিতিশীলতা চুক্তির কাঠামোর মধ্যেই কর্মসংস্থান বাড়াতে অনেক পদক্ষেপ নেবার সুযোগ আছে৷

রণতরীতে শীর্ষ সম্মেলনের মধ্য দিয়েই কূটনৈতিক তৎপরতা শেষ হয়ে যাচ্ছে না৷ ভবিষ্যতে ইউরোপের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করতে ম্যার্কেল একে একে ১২টি ইইউ দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে মিলিত হবেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য