1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো এলাকায় মূল্যহ্রাস

২ এপ্রিল ২০১৪

সংকট কাটিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরছে ইউরোজোন৷ কিন্তু মূল্যস্ফীতি কমে চলার ফলে মূল্যহ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ সংশয় কাটাতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করবে কিনা, তা জানার জন্য অপেক্ষা করছে পুঁজিবাজার৷

https://p.dw.com/p/1BZeW
Symbolbild EZB Europäische Zentralbank Frankfurt am Main
ছবি: Getty Images

ইউক্রেনকে ঘিরে সংকট কিছুটা স্তিমিত হলেও ইউরোপে মূল্যস্ফীতি কমে চলায় ‘ডিফ্লেশন', অর্থাৎ মূল্যহ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ এই মুহূর্তে ইউরো এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার মাত্র ০.৫ শতাংশ৷ ‘ডিফ্লেশন'-এর ফলে ক্রেতারা মূল্য আরও কমার আশায় কেনাকাটা বন্ধ রাখতে পারেন৷ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের উপরও এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে৷ এই অবস্থায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসিবি চলতি সপ্তাহে সুদের হার সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত নেয়, পুঁজিবাজার সে দিকে নজর রাখছে৷

Symbolbild Lohn
ইউরোজোন প্রবৃদ্ধির পথে এগোচ্ছেছবি: Fotolia/Klaus Eppele

ইউরোজোন একদিকে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে প্রবৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে৷ ফলে সংকটের সময় ইসিবি যে সব পদক্ষেপ নিয়েছিল, সেগুলির আর প্রয়োজন থাকছে না৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইসিবি সুদের হার আবার বাড়াতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ ফলে ঋণের ব্যয়ও বাড়বে৷ উল্লেখ্য, গত নভেম্বর থেকে সুদের হার মাত্র ০.২৫ শতাংশ রাখা হয়েছে৷ বৃহিস্পতিবার ইসিবি-র বৈঠকেও তাতে কোনো পরিবর্তনের আশা করা হচ্ছে না৷ অন্যদিকে সম্ভাব্য ‘ডিফ্লেশন'-এর মোকাবিলা করতে ইসিবি কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ এর আগে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ইসিবি তার আর্থিক নীতিতে রদবদল করেছিল৷ এবারও তা ঘটবে কিনা, তা নিয়ে বাজারে সংশয় রয়েছে৷ মূল্যস্ফীতির হার শূন্যের নীচে নেমে গলে তবেই ইসিবি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে বলে মনে করছে একটি মহল৷

সার্বিকভাবে ইউরো এলাকার সংকটগ্রস্ত দেশগুলির পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে চলেছে, যদিও সেই উন্নতির গতির পার্থক্য রয়ে গেছে৷ ইউরো এলাকায় বেকারত্বের হার ১১.৯ শতাংশে কমে গেছে৷ চলতি সপ্তাহে ইউরোগ্রুপ-এর বৈঠকে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়েছে৷ স্পেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশা করছে৷ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ইটালিতে সংস্কার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশা বাড়ছে৷ অনেক আলাপ-আলোচনার পর গ্রিসের জন্য পরবর্তী দফার আর্থিক সহায়তার পথ খুলে গেছে৷ চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে৷ তারপর এর প্রয়োজন পড়বে না বলে ক্ষীণ আশা দেখা যাচ্ছে৷ পর্তুগালের বাজেট ঘাটতি দ্রুত কমে চলেছে৷ অর্থাৎ ব্যয়সংকোচ ও সংস্কারের ফল দেখা যাচ্ছে৷ সাইপ্রাস ব্যাংকিং সংকট কাটিয়ে অদূর ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধির পথে ফিরবে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য