1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউনূস বিষয়ে কূটনীতিকদের জানাবেন অর্থমন্ত্রী

৩ মার্চ ২০১১

ড. ইউনূসকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি একেক পত্রিকা একেক ভাবে দেখছে৷ পত্রিকাগুলোর শিরোনামে শব্দের ব্যবহারে সেটা বোঝা যায়৷ যেমন কালের কন্ঠ শিরোনাম দিয়েছে: ‘‘গ্রামীণ ব্যাংকে শেষ হলো ইউনূস-রাজত্ব’’৷

https://p.dw.com/p/10Sf6
মুহাম্মদ ইউনূসছবি: AP

আর যুগান্তর, সমকাল ও ইত্তেফাকের শিরোনামে ‘অপসারিত' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে৷ কিন্তু প্রথম আলো ব্যবহার করেছে ‘অব্যাহতি' এই শব্দটি৷ আর ডেইলি স্টার ‘রিমুভড' অর্থাৎ অপসারিত শব্দটি লিখলেও সেখানে কমা ব্যবহার করেছে৷ এছাড়া প্রথম আলোতে ছোট্ট দুটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে৷ এর একটিতে বলা হয়েছে যে, ড. ইউনূসকে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া সাম্প্রতিক অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে শীতলতা দেখা দিয়েছে৷ এছাড়া ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ও ‘ফ্রেন্ডস অব গ্রামীণ' নামে বিশ্বের নামকরা মানুষদের নিয়ে গড়া সংগঠনটি এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে৷ আর ডেইলি স্টার বলছে ড. ইউনূসের বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানাতে আজ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত৷

ফিরে আসা বাংলাদেশি

বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকম বলছে, বাংলাদেশিরা নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফিরেছে৷ অনেকের কাছে বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরে যাবার টাকাও নেই৷ তাই সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে এক হাজার করে টাকা দেয়া হচ্ছে৷ এছাড়া বিমানবন্দরে বিশেষ ডেস্ক বসানো হয়েছে, কারণ অনেকের কাছে পাসপোর্ট নেই৷ এদিকে নজরুল নামের একজন বলেছেন, লিবিয়ায় বিক্ষোভকারীদের ৯০ ভাগই ছিনতাই ও লুটপাটকারী৷ তারা তার কাছ থেকে টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ এদিকে ইত্তেফাকের প্রধান প্রতিবেদন বলছে লিবিয়ার সীমান্তে জিম্মিদশায় আটকে আছে ২০ হাজারের অধিক বাংলাদেশি৷ দুষ্কৃতকারীরা তাদের অনেককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছে বলে জানাচ্ছে পত্রিকাটি৷


বিশ্বকাপ

ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন৷ তাই পত্রিকাগুলো স্বাভাবিক কারণেই এটাকে নিয়ে হৈচৈ করেছে৷ সমকালের শিরোনামে শুধু ‘অঘটন' কথাটাই লেখা হয়েছে৷ তাদের প্রতিবেদনে আয়ারল্যান্ড যে বাংলাদেশকেও কাঁপিয়ে দিয়েছিল সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে৷ প্রথম আলো আর কালের কন্ঠ তাদের শিরোনামে ম্যাচটাকে আইরিশ রূপকথার সঙ্গে তুলনা করেছে৷ আর বেশিরভাগ পত্রিকাতেই বিশ্বকাপের দ্রুততম শতক হাঁকানো কেভিন ও'ব্রায়েনের ছবি ছাপানো হয়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী