1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউনিভার্সিটি অফ অল্ডেনবুর্গ

১৫ জুন ২০১০

জার্মানির নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অল্ডেনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় একটি৷ ১৯৭৪ সালের গ্রীষ্মকালীন সেমেস্টারে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল মাত্র দুই হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে বিশাল পরিবর্তন৷

https://p.dw.com/p/Nqvg
ফাইল ফটোছবি: DW

১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও এর ঠিক দুই বছর পরই জার্মান সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দেয়৷ বর্তমানে অল্ডেনবুর্গ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছে প্রায় ১১ হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অধ্যাপনা, সাহায্য এবং সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত রয়েছে আরো প্রায় আঠারশ' ফ্যাকাল্টি এবং এ্যাকাডেমিক স্টাফ৷

সবমিলিয়ে প্রায় ৪০টি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে অল্ডেনবুর্গ ইউনিভার্সিটি৷ শতকরা ৭৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা শেষ করে ডিগ্রি পেতে চায়৷ প্রায় ২৫ শতাংশ চেষ্টা করে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে – বিশ্ববিদ্যালয়েই তারা শুরু করে তাদের কর্মজীবন৷

বলা যেতে পারে, বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনার জন্য অল্ডেনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় আদর্শ স্থান৷ ১৯৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগ করা হয় জ্বালানী উৎপাদনকারী গবেষণাগার এবং সামুদ্রিক পরিবেশের গবেষণার জন্য একটি কেন্দ্র, যার নাম ‘ইন্সটিটিউট ফর কেমিস্ট্রি এ্যান্ড বায়োলজি অফ দ্যা মেরিন এনভায়রনমেন্ট'৷ পরে পদার্থবিজ্ঞানকেও এই ইন্সটিটিউটে যোগ করা হয়৷ বর্তমানে এই ইন্সটিটিউটে কাজ করছেন প্রায় ১০০ জন গবেষক৷ ১৯৮৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে যোগ করা হয় কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়টি৷ এরপর কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগটিকে পরিণত করা হয় আরেকটি ইন্সটিটিউটে, যার নাম দেয়া হয় – ‘অল্ডেনবুর্গ রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট ফর কম্পিউটার সায়েন্স টুল্স এ্যান্ড সিস্টেমস'৷ এই ইন্সটিটিউটে কাজ করছেন প্রায় দেড়শ জন৷

বাংলাদেশি ছাত্রের অভিজ্ঞতা

বাংলাদেশের ছাত্র আদনান শাহ৷ তিনি অল্ডেনবুর্গ ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন৷ এখন কাজ করছেন একটি কনসাল্টিং কোম্পানিতে৷ জার্মানিতে পড়াশোনা, মাস্টার্স করার জন্য পছন্দমত বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পাওয়া সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘‘আমি ব্যাচেলর করেছি প্রথমে ব্রেমেন থেকে, ২০০৩ সালে৷ এরপর আমি মাস্টার্স করি ওল্ডেনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷ ব্যাচেলরের পর আমা খুব ইচ্ছে ছিল ‘সোলার এনার্জির' ওপর পড়ার৷ তখন আমি অল্ডেনবুর্গ ইউভার্সিটি খুঁজে পাই৷ এখানে পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানীর প্রতিটি বিষয় পড়ানো হয়৷ শুধু সোলার নয়, বাতাস, পানি, বায়োগ্যাস – সব ধরণের বিষয়ের ওপরই এখানে পড়ার সুযোগ রয়েছে৷ সোলার এনার্জির ওপর এখানেই মাস্টার্স করলাম৷ ''

পড়া শেষ করে চাকরি

জার্মানিতে কী তা খুব সহজ? আদনান শাহ-র মতে, ‘‘ আসলে এটা কিছুটা কঠিন কারণ এটা নির্ভর করে একেকজনার ওপর৷ আমার কথা বলতে পারি, ব্যাচেলরের পর আমার ইচ্ছে ছিল চাকরী করার৷ কিন্তু আমি কোন চাকরী পাইনি৷ মূল কারণ ছিল – ব্যাচলর জেনারেল স্টাডি৷ সেখানে কোন মুখ্য কোন বিষয় ছিল না৷ আমার কোন বিষয়ে স্পেশালাইজেশন ছিল না৷ এজন্য কোন কোম্পানি আমাকে নিতে আগ্রহী হয়নি৷ এরপর যখন আমি মাস্টার্স করলাম, শেষ ছয়মাস ব্যস্ত ছিলাম থিসিস নিয়ে৷ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবসময় উৎসাহ দেয়া হয় কোন কোম্পানির সঙ্গে থিসিস শেষ করতে৷ আমার ইউনিভার্সিটির কাছেই এই কোম্পানিটি ছিল৷ কোম্পানিই আমাদের মাস্টার্সের বিভিন্ন বিষয় বেছে দিয়েছিল৷ তখন আমি এই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করি, ওদের সঙ্গে কাজ করি৷ কাজ করেছি গত অগাস্টে একটি প্রজেক্টের ওপর৷ প্রজেক্টটি খুব ভালভাবে শেষ করা হয়েছে৷ এরপরই কোম্পানিটি আমাকে কাজের জন্য চুক্তি দেয়৷ আমি রাজি হয়ে যাই৷''

প্রশ্ন বিদেশি কোন ছাত্র-ছাত্রী যদি জার্মানিতে পড়াশোনার শেষে করে জার্মানিতে চাকরী নিয়ে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায় – তার সম্ভাবনা কতটুকু ? আদনান শাহ বললেন, ‘‘আমার মনে হয় এখানে জার্মানিতে অনেক ভাল সুযোগ রয়েছে৷ চাকরী নিয়ে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য৷ কারণ এখানে বাধা-নিষেধ অনেক কম৷ আমি আমার ক্ষেত্রে দেখেছি – আমার বসবাসের অনুমতি, চাকরীর অনুমতি কোনটাই পেতে সমস্যা হয়নি৷ এরমূল কারণ ছিল – আমার চাকরী, জার্মানিতে আমার পড়াশোনা৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোরদার

সম্পাদন: সঞ্জীব বর্মন