1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ-র জন্য একক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব

১০ মার্চ ২০১৫

ইউক্রেন সংকটকে ঘিরে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের উত্তেজনা বাড়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য একটি একক সামরিক বাহিনী গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার৷

https://p.dw.com/p/1Eo1L
Ukraine eingefrorener Konflikt
ছবি: Christopher Bobyn

জার্মান পত্রিকা ‘ভেল্ট আম সনটাগ'-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ুংকার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা হুমকি মোকাবিলা ও ইউরোপীয় মূল্যবোধ রক্ষায় এই বাহিনী কাজ করবে৷ ‘‘ইউরোপীয়দের নিয়ে গঠিত একটি একক বাহিনী রাশিয়ার কাছে এই বার্তা পাঠাবে যে, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল্যবোধ রক্ষায় বেশ সক্রিয়'', বলেন লুক্সেমবুর্গের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ুংকার৷

এ ধরনের একটি বাহিনী গঠন করলে ইইউ দেশগুলো আর্থিকভাবেও লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি৷ ইয়ুংকারের মুখপাত্র পরে জানান, এর ফলে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১২০ বিলিয়ন ইউরো বাঁচানো সম্ভব হবে৷

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট মনে করেন, একক বাহিনী গঠনের বিষয়টি ইইউ-র জন্য ভবিষ্যতে একটি একক পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে৷ তবে সম্ভাব্য ইইউ বাহিনীর ন্যাটোর ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করা উচিত হবে না, বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

পশ্চিম ইউরোপকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত থেকে রক্ষার লক্ষ্যে ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো গঠন করা হয়েছিল৷ বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ২৮৷ এর মধ্যে ২২টি ইইউর সদস্য৷ ইউক্রেন সংকটের গোড়ার দিকে ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে থাকা তার সদস্য দেশগুলোতে সেনা সদস্য ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর মাধ্যমে সম্ভাব্য রুশ হামলা ঠেকানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল৷

EU Merkel bei Juncker
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল লুক্সেমবুর্গের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ুংকারছবি: Reuters/Y. Herman

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইয়ুংকারের প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও বলেছেন শিগগিরই এটা হবে না৷ এটাকে ‘ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা' বলে অভিহিত করেছেন ম্যার্কেল সরকারের মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ানে ভির্ৎস৷

তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত নন৷ ২০১৩ সালে ইইউ-র এক শীর্ষ সম্মেলনে এ ধরনের পরিকল্পনার কথা উঠলে তখনই এর বিরোধিতা করেছিলেন ক্যামেরন৷ তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা হতে পারে, কিন্তু তাই বলে ইইউ-র নিজের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী থাকা ঠিক নয়৷''

এদিকে বিশ্লেষকরাও একে অবাস্তব ও অজনপ্রিয় পরিকল্পনা বলে অভিহিত করেছেন৷ তাঁদের ধারণা, ইইউ-র অনেক সদস্য ইয়ুংকারের প্রস্তাবে সমর্থন জানাবে না৷ তাঁরা বলছেন, আর্থিক বিষয় বিবেচনা করলে প্রস্তাবটি যৌক্তিক মনে হতে পারে, কিন্তু ২৮টি ভিন্ন দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যাপারে একমত হওয়া হয়ত সম্ভব নয়৷ জার্মানির ‘ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স'-এর মার্কুস কাইম বলেন, ‘‘আমি এই প্রস্তাবে বেশ কিছু সমস্যা দেখতে পাচ্ছি যেগুলোর সমাধান সম্ভব নয়৷''

ইয়ুংকারের প্রস্তাব নিয়ে জুনে অনুষ্ঠেয় ইইউর পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য