1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইংল্যান্ডের ফুটবল সংগঠনের বিরুদ্ধে ডোপিং চেপে যাবার অভিযোগ

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১

খেলোয়াড়দের শরীরে নিষিদ্ধ মাদক বা ওষুধ ধরা পড়া সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের ফুটবল সংগঠন – এফএ সেই সব ঘটনা গোপন রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/12Xzf
ইংলিশ ফুটবলের একটি দৃশ্যছবি: dpa

খেলাধুলার জগতের অনেক সাফল্যকেই ম্লান করে দেয় ডোপিং'এর ঘটনা৷ নিজের শক্তি, ক্ষমতা, দক্ষতা ও পরিশ্রমের উপর নির্ভর না করে বাকিদের টেক্কা দিতে অনেকে নিষিদ্ধ ওষুধ বা মাদকের আশ্রয় নেয়৷ রক্ত পরীক্ষায় সেই ওষুধের চিহ্ন ধরা পড়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বন্ধ হয় নি ডোপিং'এর প্রবণতা৷ অসাধু খেলোয়াড় ও নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে চলে এক চোর-পুলিশ খেলা৷

এবার খেলোয়াড় নয়, ডোপিং'এর প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল সংগঠনের বিরুদ্ধে৷ চ্যানেল ফোর টেলিভিশনের এক তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে, যে খেলোয়াড়রা ডোপিং পরীক্ষায় ধরা পড়ার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরে থাক, উল্টে বিষয়টি চেপে যাওয়ারই চেষ্টা করে থাকে ইংল্যান্ডের ফুটবল সংগঠন – এফএ৷ অভিযোগের সপক্ষে চ্যানেল ফোর কয়েকজন খেলোয়াড়ের নামও উল্লেখ করেছে, যাদের শরীরে কোকেন পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি৷ যেমন ২০০৯-২০১০ সালের ক্লাব মরশুমে বার্মিংহ্যাম সিটি ক্লাবের খেলোয়াড় স্কটল্যান্ডের গ্যারি ও'কনর কোকেন পরীক্ষায় ধরা পড়ার পর গোপনে দুই মাস ধরে তার খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল৷ তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে দেওয়া হয় নি৷

এমন অভিযোগের মুখে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এফএ৷ তারা বলছে, সংগঠনের বিধিনিয়ম অনুযায়ী ডোপিং পরীক্ষায় ধরা পড়লেও খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা হয়ে থাকে৷ তাছাড়া আইন অনুযায়ী তাদের নাম প্রকাশ করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই৷ তবে শক্তিবর্ধক কোনো মাদক জাতীয় ওষুধ ধরা পড়লে অবশ্যই খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করা হয়৷ শুধু তাই নয়, এক বিবৃতিতে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তারাই ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় আকারের সার্বিক ডোপিং-বিরোধী কর্মসূচি চালিয়ে আসছে৷

এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক ডোপিং বিরোধী সংস্থার মহাসচিব ডেভিড হোম্যান প্রস্তাব দিয়েছেন, এফএ তার ডোপিং-বিরোধী কর্মসূচিকে আরও স্বচ্ছ করে তুলতে পারে, যাতে ধরা পড়লেই কোনো খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হয়৷ একমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই এর ব্যতিক্রম ঘটানো যেতে পারে৷ তবে একইসঙ্গে পরিচয় গোপন রাখার সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করা উচিত৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক