1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আয়ারল্যান্ডের আর্থিক সংকট কি ইউরো'কে আবার ধাক্কা দেবে?

১৬ নভেম্বর ২০১০

প্রথমে গ্রিস, তারপর আয়ারল্যান্ড৷ স্পেন ও ইটালির আর্থিক সংকট নিয়েও মাঝে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছিল৷ অতীতের সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থমন্ত্রীরা ইউরো এলাকার স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়ে আলোচনা করছেন৷

https://p.dw.com/p/QARl
আয়ারল্যান্ডের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা বেসামাল হয়ে পড়েছেছবি: Picture alliance/dpa

আয়ারল্যান্ডের সংকট

গ্রিসের ঘটনার প্রেক্ষিতে মনে রাখতে হবে, বাজার কতটা সংবেদনশীল৷ অর্থাৎ বাজার যদি মনে করে, যে ইউরো এলাকার অন্যতম সদস্য আয়ারল্যান্ড আর নিজ বলে আর্থিক সংকট কাটাতে পারবে না, সেক্ষেত্রে অভিন্ন মুদ্রা ইউরো – অর্থাৎ একই সূত্রে বাঁধা গোটা ইউরো এলাকা নতুন করে সংকটের মুখে পড়বে৷ অতএব বাজারের আস্থা বজায় রাখাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ আয়ারল্যান্ডের সরকার ও ইউরোপীয় কমিশন অবশ্য স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, যে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই৷ গ্রিসের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যে জরুরি তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, আপাতত আয়ারল্যান্ডকে তার দ্বারস্থ হতে হবে না৷

ব্রাসেলস'এর সাহায্যের সুবিধা-অসুবিধা

অর্থনীতি জগতের একটা বড় অংশ এমনটাই মনে করে৷ কিন্তু এর দুটি দিক রয়েছে৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও ইউরো এলাকার কিছু দেশ আয়ারল্যান্ডের সাহায্যে এগিয়ে এলে সঙ্গে কিছু শর্তও চাপাবে, যার ফলে আয়ারল্যান্ডের সরকার বেশ কিছু অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হবে৷ যেমন কর্মী ও শ্রমিকদের বেতন ও মজুরি আগেই কিছুটা কমানো হয়েছিল, ইউরোপীয় সহায়তা নিলে ভবিষ্যতে তা আরও কমাতে হবে৷ সরকারি ব্যয় কমানোর চাপের ফলে বেশ কিছু নতুন কর চাপাতে হবে ও করের হার বাড়াতে হবে৷ কাটছাঁট করতে হবে সামাজিক সুরক্ষা খাতে৷ আয়ারল্যান্ডের সরকারের পক্ষে এই সব অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন৷

Irland Premierminister Brian Cowen
গোটা বিশ্বের নজর এখন আয়ারল্যান্ডের দিকেছবি: AP

ইউরো এলাকার সার্বিক অবস্থা

আপাতত আয়ারল্যান্ডের পর দ্বিতীয় সমস্যা পর্তুগাল৷ সেদেশ অবশ্য পরিস্থিতি সামলাতে আগেভাগেই সরকারি কর্মীদের বেতন ৫ শতাংশ কমানো ও ভ্যাট করের হার ১৯ থেকে ২৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ইইউ থেকে সাহায্য নিতে হলে পণ্য ও পরিষেবার উপর কর বা ভ্যাট বাড়ানো প্রায় বাধ্যতামূলক বলা চলে৷ ইউরো এলাকার প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত দেশ জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অবশ্য বেশ ইতিবাচক৷ তবে জার্মানি এই ইতিবাচক প্রবণতা সত্ত্বেও নিজেদের এবং গোটা ইউরো এলাকায় সরকারি বাজেট ঘাটতি কমানোর বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক