‌‌আসছেন মা দুর্গা, মহাব্যস্ত কুমোরটুলি

প্রথমে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় একটি কাঠামো৷ প্রতিমার আকার কেমন হবে, তা নির্ভর করে এই কাঠামোর ওপরই৷ কাঠামোয় খড়ের আবরণ দিয়ে মনের মতো আকৃতি দেন শিল্পীরা৷

দ্বিতীয় ধাপে বাঁশ-খড়ের কাঠামোয় কাদামাটি লেপে দেন নির্মাতা৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় রূপ নিচ্ছে দেবী সরস্বতীর বাহন হংসরাজ৷

কাদার প্রলেপ শুকিয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় রং করা৷ তবে মূল রং বসানোর আগে সাদা বা হালকা রঙে রাঙিয়ে নেয়া হয় প্রতিমা৷ চকচকে ভাবটা যাতে ফুটে ওঠে, সেজন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে রঙ করা হয় কয়েক দফা৷

দেবী দুর্গার পাশাপাশি তাঁর পায়ের তলায় মহিষাসুরের মূর্তিটাও হওয়া চাই জুৎসই৷ তাই দুর্গাকে যতটা শক্তিশালী, পরাক্রম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, মহিষাসুরকেও ততটাই ভয়ঙ্কর হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়৷ ছবিতে মুখে প্লাস্টিক ঢাকা এক মহিষাসুরকে দেখা যাচ্ছে৷ দেবীর হাতে বধ হওয়ার আগে তাকে বাঁচাতে হবে রোদ-‌বৃষ্টির হাত থেকে৷

দুর্গোৎসবে শুধু মৃৎশিল্পীদের কথা বললে ভুল হবে৷ উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে বড় ভূমিকা রাখেন জরি, শোলা বা ডাকের কারিগররাও৷ প্রতিমা তো তৈরি হচ্ছেই, এই শিল্পীরা ব্যস্ত কিভাবে প্রতিমা এবং মন্ডপের সাজসজ্জা হবে, তার পরিকল্পনায়৷

কাজে ক্লান্তি আসবেই, কিন্তু এই মুহূর্তে ক্লান্তির কাছে আত্মসমর্পণের সুযোগ নেই শিল্পীদের৷ একটু দেরিতেই সব ওলটপালট হয়ে যেতে পারে৷ তাই কর্মস্থলেই একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা৷ একটু কর্মশক্তি সঞ্চয় হলেই আবার শুরু হবে দেবতা গড়ার কাজ৷