1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরব বসন্তের পর আরব সিনেমা

১৪ মে ২০১১

আরব দুনিয়ায় রাজনৈতিক তোলপাড়ের পর উচ্চ পর্যায়ের আরব সিনেমাকে বিশ্ববাসীর নজরে আনার একটা বৈপ্লবিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, যার পিছনে রয়েছেন মিশরের ফিল্মস্টার খালেদ আবোল নাগা৷

https://p.dw.com/p/11FzK
মিশরের ফিল্মস্টার খালেদ আবোল নাগা (বামে)ছবি: picture alliance/landov

এবং কান চলচ্চিত্র উৎসবেই ঘটছে সেই শুভসূচনা৷ নাগা এবং তাঁর ফরাসি ও লেবাননি সহযোগীরা আরব ফিল্মের জগতে অনেকটা ফরাসি ‘ওতোয়র', অর্থাৎ ‘রচিত' ফিল্মের কায়দায় যে সব চিন্তাশীল ছবি তৈরি হয়েছে, সেগুলিকে পরিবেশন করতে চান৷ যেমন মিশরের বিপ্লব নিয়ে তৈরি ছবি ‘আঠেরো দিন'; আলেক্সান্দ্রিয়া শহরের গোপন সঙ্গীত জগৎ নিয়ে তৈরি ছবি ‘মাইক্রোফোন'; কিংবা লেবাননে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন এক মহিলার বিবাহ নিয়ে তৈরি ছবি ‘ছুটকো বুলেট'৷

Szene aus TAMANTASHAR YOM 18 Days beim Filmfestival in Cannes 2011
আঠেরো দিন' ছবির দৃশ্যছবি: Cannes Filmfestival 2011

তিন বছর আগে ‘টিম কায়রো' নাম দিয়ে মিশরের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক এবং প্রযোজকদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়৷ সেখান থেকেই জন্ম নেয় নাগা'র বর্তমান কোম্পানি পাশা পিকচার্স৷ উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি কোম্পানি সৃষ্টি করা, যা আরব ফিল্মে আগ্রহীদের পক্ষে একটি পরিচিত ঠিকানা হয়ে উঠবে৷ বলতে কি, তথাকথিত আরব বসন্তের বিপ্লবের ঢেউ নাগা এবং তার সাথীদের প্রকল্পে প্রথমে আটকেই দেয়৷ কিন্তু পরে দেখা যায়, ঐ আরব বসন্তই সারা বিশ্বে আরব ফিল্ম সম্পর্কে আগ্রহের জোয়ার সৃষ্টি করেছে৷ নাগার ভাষায়: ‘‘মিশরের বিপ্লবের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই যে আমরা প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করতে পারলাম, এবং কান'এ এখন তার শুভসূচনা করতে চলেছি – এটা যেন একটা স্বপ্নের মতো৷''

ষাটের দশকে মিশরি ফিল্মের রমরমা ছিল৷ এখনও মিশরে বছরে প্রায় ৮০টা ছবি তৈরি হয়ে থাকে৷ এ'সব ফিল্মের উপজীব্য হল মনোরঞ্জন, পারিবারিক নাটক এবং এ্যাকশন৷ এর অধিকাংশই হলিউডের নকলে৷ কিন্তু পাশা পিকচার্স চাইছে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিজেদের ছবি, তাদের আধুনিক শিল্পকর্ম পেশ করতে৷ আরব জীবন নিয়ে ছবি খুঁজতে গেলে কোথায় যেতে হবে, আন্তর্জাতিক পরিবেশকরাও তার একটা ধারণা পাচ্ছেন৷ আরব বিপ্লব তৈরি করেছে আগ্রহ, সেই আগ্রহ পরিণত হবে চাহিদায়, সেই চাহিদা মোটানোর জন্য স্থায়ী কাঠামোর ব্যবস্থা করতে হবে৷ কান হল তার প্রথম পর্যায়৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য