1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমিও সাইকেল চালাচ্ছি!'

৭ জুলাই ২০১৭

মহিলা তাঁর বেবি হাস্কি কুকুরটিকে বগলদাবা করে সাইকেলে চড়ে কোথায় যেন যাচ্ছেন৷ আর হাস্কিটা কী করছে? সামনের দু'টো থাবা ঘুরিয়ে যাচ্ছে – যেন সাইকেল চালাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2g9SA
Junge Frau beim Radfahren im Park
ছবি: picture alliance/Bildagentur-online

হাস্কি কুকুররা আসলে খুব গম্ভীর, কাজের মানুষ – থুড়ি কুকুর৷ বরফের ওপর দিয়ে স্লেজ টানা, দিনে আড়াইশ' কিলোমিটার দৌড়নো, এই সব হলো ওদের কাজ৷ কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম হলো, তুমি বাঘের বাচ্চা হও আর সিংহশাবক হও – কমবয়সে তোমাকে ‘কিউট' হতেই হবে, যাতে তোমাকে দেখে সকলের বাৎসল্য উথলে ওঠে, সকলে তোমাকে সামলে রাখে, খেতে-পরতে দেয়, মারধোর না করে৷

বেবি হাস্কির এই ভাইরাল ভিডিওটা ‘কিউটনেসে' ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছে৷ ‘টুইপল', মানে টুইটার ফলো করে থাকেন এমন সব ‘পিপল' বা জনতা নাকি বেবি হাস্কির বাতাসে সাইকেল চালানোর ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটা রিটুইট করে করে আর কিছু রাখেনি! কয়েক লাখ বার রিটুইট – তার সঙ্গে আরো কয়েক লাখ লাইক: এ তো দিন তিনেক আগেকার স্ট্যাটিটিক্স; আজ তা কোথায় পৌঁছেছে, কে জানে৷

কিন্তু কিউটনেস ব্যাপারটার মধ্যেই যেন কোথায় একটা ফাঁক কিংবা ফাঁকি আছে৷ প্রথমত, বেবিরা বোধহয় ঠিক জানে না, কখন তাদের কিউট দেখাচ্ছে অথবা না দেখাচ্ছে৷ জেনেশুনে কিউট হওয়াটাকে বলে ন্যাকামি – প্রয়োজনে বেবিরাও সেটা শেখে৷ কিন্তু বেবিরা সত্যিকারের কিউট হয়, যখন তারা না জেনে কিছু একটা করে – আর তাদের মা, মাসি-পিসি, দিদা-দিদিরা ‘আহা মরে যাই' বলে গলে যান – আগে ওভাবেই লাইক দেযা হতো কিনা৷

হাস্কি বেবি জানেও না যে, সে সাইকেল চালাচ্ছে না৷ সে দেখছে, পায়ের তলা দিয়ে মাটি সরে যাচ্ছে, অর্থাৎ সে ‘চলেছে'৷ আর থাবা না নাড়লে যে ‘চলা' যায় না, এটা তার সহজাত প্রবৃত্তি তাকে বলে দিচ্ছে৷ মনে রাখবেন, কুকুররা কিন্তু ঠিক ঐভাবেই সাঁতার কাটে, ঠিক যেভাবে তারা চলে, সেভাবে, অর্থাৎ থাবার পর থাবা ফেলে৷ বলতে কি, কোনোদিন যদি কোনো কুকুরকে উড়তে দেখেন, তাহলে দেখবেন মাটির পৃথিবীতে চলা, হাঁটা, দৌড়নোর মতোই সে তার থাবা ঘুরিয়ে যাচ্ছে...

ঠিক আমাদের ঐ বেবি হাস্কির মতো৷

এসি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য