1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৈয়দ শামসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে হার মানলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক৷ মঙ্গলবার ৮১ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন বাংলাদেশের এই বিখ্যাত কবি ও লেখক৷

https://p.dw.com/p/2QgS1
সৈয়দ শামসুল হক
ছবি: bdnews24.com

‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস' – তিন যুগ আগে এই গানটি লিখেছিলেন সৈয়দ শামসুল হক৷ ১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়ার ‘বড় ভালো লোক ছিল' চলচ্চিত্রের এই গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে৷ কবির দম হয়ত ফুরিয়ে গেছে, কিন্তু মানুষের অন্তরে তাঁর লেখা যে কীভাবে গেঁথে আছে, তার প্রমাণ তাঁর প্রয়াণেই৷ কবির প্রয়াণের পর বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাঁর লেখা কবিতা আর গানে ভরিয়ে ফেলেছে ফেসবুক টুইটারের পাতা৷ আজও চলছে কবিকে স্মরণ৷

সেইসাথে গণমাধ্যমেও কবির নানা সাক্ষাৎকার, কবির লেখা নিয়ে নানা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে৷

এপিটাফ কবিতায় তিনি লিখে গেছেন – ‘‘আমি কে তা নাইবা জানলে৷ আমাকে মনে রাখবার দরকার কি আছে?

আমাকে মনে রাখবার? বরং মনে রেখো নকল দাঁতের পাটি, সন্ধ্যার চলচ্চিত্র আর জন্মহর জেলি৷

আমি এসেছি, দেখেছি, কিন্তু জয় করতে পারিনি৷ যে কোনো কাকতাড়ুয়ার আন্দোলনে, পথিক, বাংলায় যদি জন্ম তোমার,

আমার দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাবে৷''

লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক টুইটারে লিখেছেন...

ড. ইমরান এইচ সরকার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘মর্মঘাতী ব্যাধির সাথে দীর্ঘদিন লড়াই করে হেরে গেলেন প্রিয় কবি৷ এই শোকবিধুর ক্ষণেও শক্তি পেতে আপনার কবিতার কাছেই আমাদের যেতে হচ্ছে, আপনার অমরত্ব এখানেই৷'' তাঁর কথায় –

‘‘শুধাও আমাকে ‘এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে?'

তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির ইতিহাস শোনো নাই –

‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই৷'

একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই

সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই৷''

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম লিখেছেন,

‘‘জানি আপনি থাকবেন বাংলাভাষী মানুষের মনে-মননে-মগজে৷ যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন৷''

বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে সব্যসাচী লেখককে৷

মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন, ‘‘শুভ বিদায় বন্ধু''

ফেসবুক পাতায় মিশা মালীহা মিমু লিখেছেন,

‘‘নবিউন নেসা টুটু আজ প্রতিবেশী সিদ্দিক হোসেন সাহেবের বাসায় তাঁর সদ্যজাত পুত্রকে দেখতে যাবেন বলে খুব তড়িঘড়ি করে তৈরি হলেন৷ গিয়ে দেখেন মায়ের কোল আলো করে চাঁদের টুকরা ঘুমুচ্ছে৷ নাম রাখা হয়নি শুনে লেখিকা নবিউন নেসা টুটু বলে উঠলেন, এই চাঁদের টুকরার নাম রাখলাম ‘বাদশাহ'৷ তিনিই সৈয়দ শামসুল হক৷ তিনি তো বাদশাহই সাহিত্য জগতের৷....আমরা জেগে আছি বাদশাহ এর ডাকে জেগে থাকার জন্য৷ আপনাকে বাদশাহ রূপে বাঁচিয়ে রাখার জন্য৷''

সামিউল খান লিখেছেন, ‘‘কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে ‘সব্যসাচী লেখক' বলা হয়৷ মাত্র ২৯ বছর বয়সে সৈয়দ শামসুল হক বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান৷ বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সি লেখক৷''

ফেসবুক পাতায় এসএম জাকির হোসাইন লিখেছেন,

‘‘বিদায় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক৷ বাংলা সাহিত্যের আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হয়ে থেকে যাবেন মহাকাল৷''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য