আবু ধাবিতে ফ্রান্সের লুভ্রে!
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে লুভ্রে মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়েছে৷ ২০০৭ সালে ফ্রান্স ও ইউএই-র মধ্যে এ লক্ষ্যে সমঝোতা হয়৷
আবু ধাবিতে লুভ্রে
মোনালিসাখ্যাত ফ্রান্সের লুভ্রে মিউজিয়ামের আন্তর্জাতিক শাখা চালু হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে৷ সেখানে প্রদর্শনের জন্য প্যারিসের লুভ্রের কিছু শিল্পকর্ম ধারে নিয়ে যাওয়া হবে৷ ফ্রান্সের অন্যান্য মিউজিয়ামেরও কিছু শিল্পকর্ম এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সভ্যতার আর্টেরও সংগ্রহশালা হয়ে উঠবে আবু ধাবির লুভ্রে৷
ব্যয়বহুল প্রকল্প
২০০৭ সালে ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি সই হয়৷ মিউজিয়ামটি স্থাপনে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে৷ এর মধ্যে লুভ্রে নামটি ব্যবহারের জন্য খরচ হয়েছে ৫২০ মিলিয়ন ডলার৷ আবু ধাবির সাদিয়াত দ্বীপে মিউজিয়ামটি নির্মিত হয়েছে৷ এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কালচারাল কমপ্লেক্স হয়ে উঠতে চায়৷
একযুগ
ফরাসি স্থপতি জ্যঁ নুভে মিউজিয়ামটির নকশা করেছেন৷ ভবনে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ বিভিন্ন স্থানে পানির ব্যবস্থা করার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতির একটি ছাপ রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে ২০১২ সালে মিউজিয়ামটির উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল৷
স্থায়ী, অস্থায়ী প্রদর্শনী
আবু ধাবির লুভ্রেতে স্থায়ী প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রতিবছর চারটি অস্থায়ী প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে৷
পক্ষে-বিপক্ষে
লুভ্রের আগে গুগেনহাইম মিউজিয়ামও আন্তর্জাতিক শাখা খুলেছিল৷ তবে লুভ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অনেকে৷ তাঁরা মনে করছেন, লুভ্রে কর্তৃপক্ষ শিল্পের চেয়ে লাভের কথা বেশি বিবেচনায় নিয়েছেন৷ তবে লুভ্রের সিদ্ধান্তের সমর্থনকারীরা বলছেন, এর মাধ্যমে আন্ত:সাস্কৃতিক বিনিময় সম্ভব হবে৷
খোলার সূচি
মিউজিয়ামে প্রবেশ করতে ৬০ দিরহাম (১৬ ডলার) দিতে হবে৷ সোমবার ছাড়া প্রতিদিন এটি খোলা থাকবে৷ ফান গখ, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির কিছু শিল্পকর্ম প্রথমবারের মতো আবু ধাবিতে প্রদর্শিত হবে৷