1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

যুদ্ধের হুমকি, নিষেধাজ্ঞা, আন্তর্জাতিক চাপের তোয়াক্কা না করে উত্তর কোরিয়া আবার জাপানের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করলো৷ সেটি গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম৷

https://p.dw.com/p/2k1G6
Nordkorea Raketenstart Pukguksong-2
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/KCNA

জাপানের উত্তরে হোক্কাইডো দ্বীপের উপর দিয়ে আবার উড়ে গেল উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র৷ সেখান থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর আছড়ে পড়েছে সেটি৷ স্থানীয় সময় সকাল সাতটা নাগাদ সাইরেনের শব্দে মানুষ সতর্ক হয়ে পড়ে৷ মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়৷ তবে পর পর এমন দু'টি ঘটনা সত্ত্বেও জাপানের উত্তরে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি৷

দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে৷ তাদের সূত্র অনুযায়ী, ১৯ মিনিট ধরে সেটি আকাশে ছিল৷ ৭৭০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ উচ্চতা ছোঁয়ার পর সেটি মোট ৩,৭০০ কিলোমিটার দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে আঘাত হানে৷ অর্থাৎ গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় ছিল৷ এই সাফল্য সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর উপর নিখুঁত আঘাত হানার ক্ষমতা আয়ত্ত করেছে কিনা, তা নিয়ে অনেক মহলে সন্দেহ রয়ে গেছে৷

যাবতীয় চাপ সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার এমন ধারাবাহিক বেপরোয়া আচরণের জবাব কী হতে পারে, সে বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট অবস্থান দেখা যাচ্ছে না৷ অ্যামেরিকা ও জাপানের অনুরোধে শুক্রবারই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে৷

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, গোটা বিশ্বকে একযোগে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে হবে৷ সে দেশ তার আচরণের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি বিঘ্নিত করছে৷ উল্লেখ্য, এর আগে উত্তর কোরিয়া জাপানকে ‘ডুবিয়ে দেবার' হুমকি দিয়েছিল৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সে দেশের বিরুদ্ধে ‘নতুন পদক্ষেপ' নেবার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া আরও একঘরে হয়ে পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন বলেছেন, এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপ একেবারেই অসম্ভব৷ তিনি উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলা করতে নিজের প্রশাসনে নির্দেশ দিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, সরাসরি সমরাস্ত্রের আঘাত ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক পাল্স অথবা জৈব রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলার আশঙ্কা করছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)