1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকানদের ইসরায়েলে ছাড়তে হবে, নয়তো কারাবাস

৮ জানুয়ারি ২০১৮

হাজার হাজার রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে আগামী তিন মাসের মধ্যে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল৷ হয় তাঁরা সাময়িক আর্থিক সাহায্য নিয়ে ফেরত যাবেন, নয়তো জেলে যেতে হবে৷

https://p.dw.com/p/2qVJH
Flüchtlingslager Holot für afrikanische Asylsuchende in Israel
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Weiken

মাত্র কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের অভিবাসন ও সীমান্ত কর্তৃপক্ষ একটি বিতর্কিত কর্মসূচি চালু করেছেন, যার লক্ষ্য হলো, ইরিত্রিয়া বা সুদান থেকে আগত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের কোনো তৃতীয় দেশে যেতে বাধ্য করা, অথবা তাদের অবিলম্বে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা৷ যাঁদের জন্য এই কর্মসূচি, তাঁদের এই দুই পন্থার মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে৷ সেজন্য তাঁরা মার্চ মাস অবধি সময় পাবেন৷

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে এই পরিকল্পনার প্রশংসা করে বলেন, ‘‘অনধিকারপ্রবেশকারীরা সহজেই বেছে নিতে পারেন, হয় তারা স্বেচ্ছায়, মর্যাদা সহকারে, মানবিকভাবে ও আইনগতভাবে আমাদের সাথে সহযোগিতা করবেন, অথবা আমাদের অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করতে হবে৷''

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির তরফ থেকে তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু আরো এক ধাপ এগোতে চান, বলে ‘হারেৎস' পত্রিকার বিবরণে প্রকাশ৷ দৃশ্যত ইসরায়েলের জেলগুলি ভরা থাকায় ও জেলের কয়েদিদের জন্য ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বলপূর্বক বহিষ্কারের পন্থাটি বিবেচনা করা হতে পারে৷ তবে জোর করে বহিষ্কারের পরিকল্পনা বর্তমানে ‘বাস্তবসম্মত নয়' বলে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন৷

আফ্রিকান অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে ইসরায়েলের উদ্যোগ

তা সত্ত্বেও ইসরায়েলে বসবাসকারী ইরিত্রীয় ও সুদানীরা অত্যন্ত অসহায় বোধ করেছেন৷ বিশেষ বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষরা বলপূর্বক বহিষ্কারের হাত থেকে রেহাই পাবেন, এমন গুজবও শোনা যাচ্ছে৷ তবে কোনো খবরই নির্ভরযোগ্য নয়৷ সকলেই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন৷

আনুমানিক ৩৭,০০০ ইরিত্রীয় ও সুদানী ইসরায়েলে রয়েছেন৷ তাঁরা ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইসরায়েলে যান, মিশরের সিনাই উপদ্বীপ হয়ে ইসরায়েলে আসার পথটি তখনও উচ্চ প্রযুক্তির নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি৷

প্রায় কোনো উদ্বাস্তুকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয় না

এ পর্যন্ত আফ্রিকান অভিবাসীদের একটি বিপুল অংশকে উদ্বাস্তু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি৷ ইউএনএইচসিআর-এর বিবৃতি অনুযায়ী, মাত্র আট জন ইরিত্রীয় ও দু'জন সুদানী নাগরিক উদ্বাস্তু হিসেবে ইসরায়েলে স্বীকৃতি পেয়েছেন৷ বাকিদের প্রতি তিন মাস অন্তর তাদের অস্থায়ী রেসিডেন্স পার্মিট নবায়ন করাতে হয়৷ যাঁরা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেননি, তাঁরা যখন পরের বার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে আসবেন, তখন তাঁদের একটি প্লেনের টিকিট ও ৩,৫০০ ডলার ভরতুকির প্রস্তাব দেওয়া হবে, যা না নিলে, তাঁদের জেলে যেতে হতে পারে৷ দক্ষিণ ইসরায়েলের হলোট ডিটেনশন কেন্দ্রে যাঁরা আটক রয়েছেন, তাঁদের উপরেও দেশ ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে৷

বর্তমানে ব্যতিক্রমের বহু ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে প্রকাশ৷ পরিবারবর্গ, শিশু, ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষ, যে সব অভিবাসী মানুষপাচারকারীদের শিকার হয়েছেন ও যারা উদ্বাস্তু হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদনপত্র দাখিল করেছেন, তাদের সকলকেই আপাতত ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে মিডিয়ার বিবরণ থেকে জানা গেছে৷

ইসরায়েলে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের এক শতাংশের কম বর্তমানে স্বীকৃতি পেয়ে থাকেন বলে সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলো জানাচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে ইউরোপে ইরিত্রীয়দের প্রায় ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে থাকেন৷ বস্তুত সুদানী ও ইরিত্রীয়রা ইসরায়েলে এলে, তাদের ‘গোষ্ঠী সুরক্ষা' দেওয়া হয় বলে জানান ‘হটলাইন ফর রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্টস' সংস্থার তামারা নিউম্যান৷ যুগপৎ তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন না করতে বলা হয়৷

ইসরায়েলে আফ্রিকানদের উদ্বাস্তু হিসেবে দেখা হয় না, বরং তাদের সাধারণত ‘অনধিকারপ্রবেশকারী ও ‘অর্থনৈতিক অভিবাসী' বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে৷

তানিয়া ক্রেমার/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য