1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি-আফগানিস্তান সম্পর্ক

১২ ডিসেম্বর ২০১৩

একই দিনে তিনটি ঘটনা৷ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আফগানিস্তান সফর, সে দেশে জার্মান সেনাবাহিনীর উপর হামলা এবং জার্মানির আদালতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়৷ আফগানিস্তানে জার্মান অভিযানের জটিল পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷

https://p.dw.com/p/1AXXV
জার্মান আদালতে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মিছিলছবি: picture-alliance/dpa

আফগানিস্তানে আইসাফ বাহিনীর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে৷ তার পরেও কোন দেশের কত সৈন্য সে দেশে কতদিন মোতায়েন থাকতে পারে, তা স্পষ্ট নয়৷ মূল অভিযান শেষ হবার পরেও আফগান বাহিনীর প্রশিক্ষণের কাজ চালিয়ে যাবার বিষয়ে আফগানিস্তান সরকার ও ন্যাটো-র মধ্যে এখনো কোনো বোঝাপড়া হয়নি৷ দেশের উত্তরে জার্মান সেনাবাহিনীও এ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে৷ তবে পরিস্থিতি যে বিপজ্জনক, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ এই মুহূর্তে প্রায় ৩,৪০০ জার্মান সৈন্য সে দেশে মোতায়েন রয়েছে৷

Afghanistan Übersetzer Bundeswehr
আফগানিস্তানে জার্মান বাহিনীর অভিযান শেষ হতে চলেছেছবি: picture-alliance/dpa

বুধবার জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়েরের ঝটিকা সফরের সময়ে জার্মান সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলাই তা আবার মনে করিয়ে দিলো৷ বড় দিনের আগে জার্মান সৈন্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেমেজিয়ের মাজার-ই-শরিফ গিয়েছিলেন৷ আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মন্ত্রী হিসেবে তাঁকে বিদায় নিতে হবে৷ তিনি আফগানিস্তানে পৌঁছানোর ঘণ্টাখানেক পরেই একটি সাদা টয়োটা গাড়ি জার্মান বাহিনীর গাড়ি বহরের পেছনে বিস্ফোরণ ঘটায়৷ বহরের শেষ দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি৷ দেমেজিয়ের বলেন, তালেবান এমন হামলা চালালেও গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না৷

প্রায় ৪ বছর আগে আফগানিস্তানের উত্তরে কুন্দুসে ন্যাটো বাহিনীর এক বিমান হামলায় প্রায় ১০০ জন নিহত হয়, যাদের একটা বড় অংশই ছিল নিরীহ মানুষ৷ জার্মান সেনাবাহিনীর এক কমান্ডার সেই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ ঘটনার তদন্ত নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে৷ এদিকে নিহতদের পরিবার-পরিজন জার্মানির বন শহরের এক আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা করেছিলেন৷ বুধবার আদালত সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে৷ এই রায়ে হতাশ হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের আইনজীবী উচ্চতর আদালতে মামলা চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন৷

জার্মান আদালতে এমন এক মামলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে৷ অনেক দেশেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ আদালতে আদৌ এমন অভিযোগ করা সম্ভব নয়, বিদেশ থেকে তো নয়ই৷ জার্মান সেনাবাহিনীর সেরকম কোনো রক্ষাকবচ নেই৷ এই মামলার ক্ষেত্রে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থান হলো, আফগানিস্তানে জার্মান বাহিনী ন্যাটোর কাঠামোর মধ্যে সক্রিয় রয়েছে৷ তাই এমন মামলা অবৈধ৷ আদালত অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি৷ বিচারক শুধু অভিযুক্ত সামরিক কর্মকর্তার আচরণে কোনো অনিয়ম খুঁজে পান নি৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য