1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার আফগানিস্তানের জালালাবাদে হামলা

২৪ জানুয়ারি ২০১৮

কাবুলের হোটেলে হামলা চালানোর একদিনের মধ্যেই জালালাবাদের একটি বিদেশি সাহায্য সংস্থার দফতর আক্রমণ করল জঙ্গিরা৷ ঘটনায় আহত কমপক্ষে ১৪ জন৷ এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ জনের৷

https://p.dw.com/p/2rQmP
Afghanistan Anschlag in Jalalabad
ছবি: Reuters/Parwiz

পাকিস্তান লাগোয়া আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চল জালালাবাদের নানগরহারে হামলা চালালো জঙ্গিরা৷ রকেট-গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হলো ‘সেভ দ্য চিলড্রেন'এর অফিস৷ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত একজন নিহত এবং ১৪ জন আহত বলে সূত্রের খবর৷ আহতদের সবাই এখন স্থানীয় হাসপাতালে৷

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ‘সেভ দ্য চিলড্রেন'এর দফতরের বাইরে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়৷ সেখান থেকেই রকেট লঞ্চারের সাহায্যে গ্রেনেড ছোঁড়া হয় ভবনটিতে৷ মুহূর্তের মধ্যে সেখান থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে৷ জঙ্গিরা ঢুকে পড়ে ভেতরে ৷ নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গেও তাদের সংঘর্ষ শুরু হয় বলে খবর৷

এক বেঁচে যাওয়া আত্মঘাতী বোমারুর কথা

নানগরহারের গভর্নরের দফতর থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, সংঘর্ষ শেষ হয়েছে৷ একটি মৃতদেহ এবং আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে৷ যদিও কোন জঙ্গি সংগঠন এ হামলা চালিয়েছে, কোনো জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে কিনা, সেসব বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি৷

আফগান তালিবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ অবশ্য দাবি করেছেন, এ হামলার সঙ্গে তালিবানের কোনো যোগ নেই

গত কয়েকবছর ধরেই পাক সীমান্তের জালালাবাদ অঞ্চল জঙ্গিদের মুক্তক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে৷ আইএস জঙ্গিদের দাপট এলাকায় যথেষ্ট৷ কয়েকদিন আগেই আফগান তালিবান কাবুলের ‘দ্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল'এ হামলা চালিয়েছিল৷ সেই ঘটনায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে ১৩ জনই বিদেশি৷ বস্তুত, এর আগেও একের পর এক বিস্ফোরণ এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে দেশ জুড়ে৷ মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য বিদেশির৷ সূত্রের খবর, ইদানীং, বিভিন্ন বিদেশি এইড গ্রুপগুলিকে টার্গেট করছে জঙ্গিরা৷ তাদের দফতর, কিংবা কর্মস্থলে হামলার ঘটনা ঘটছে৷ বুধবারের ঘটনাও ব্যতিক্রম নয় বলেই তাদের ধারণা৷ জঙ্গিরা চাইছে, বিদেশি এইড গ্রুপগুলি দেশ ছেড়ে চলে যাক৷ বস্তুত, ব্রিটিশ সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন' ১৯৭৬ সাল থেকে কাজ করছে আফগানিস্তানে৷ কিন্তু এই হামলার পর তারা সেখানে থাকবে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে৷

ইতিমধ্যেই ‘রেডক্রস'এর মতো সংস্থা আফগানিস্তান থেকে তাদের কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে৷ অক্টোবরে সে বিষয়ে ঘোষণাও করে তারা৷ কারণ হিসেবে বলা হয়, ২০১৭ সালে রেডক্রসের ৭ জন কর্মী নিহত হয়েছেন আফগানিস্তানে৷ এবং আরও মৃত্যুর আশঙ্কা আছে৷

এসজি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য