আপনিও কি বিরক্ত?
ট্রেন বা বাস আসতে দেরি, পাশে কারও জোড়ে মোবাইলে কথা বলা বা শব্দ করে কিছু খাওয়ার শব্দে অনেকেই বিরক্ত হন৷ প্রতিনিয়ত মানুষ এ রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেও, বিষয়টি নিয়ে সম্ভবত সবচেয়ে কম গবেষণা হয়েছে৷
প্রচণ্ড বিরক্তিকর!
সিনেমা কিংবা মিউজিয়ামে ঢোকার টিকিটের জন্য লম্বা দাড়িয়ে অপেক্ষা করা৷ সেখানে হয়ত কোনো শিশু লাফালাফি করছে অথবা সিনেমা হলের মধ্যে কেউ বা শব্দ করে পপকর্ন খাচ্ছে৷ আমাদের চোখের সামনে প্রতিনিয়ত ঘটা এই ব্যাপারগুলো ছোট হলেও কিন্তু কম বিরক্তিকর নয়!
মোবাইলের ব্যবহার
আশে-পাশে যত লোকই থাকুন না কেন, তা উপেক্ষা করে অনেকেই মোবাইলে চিৎকার করে কথা বলেন৷ এটা অফিস আদালতসহ সর্বত্রই দেখা যয়৷ আজকাল তা এমনটা অনেকের কাছে প্রায় স্বাভাবিক বলেই মনে হয়৷ এতে যে অন্যরা বিরক্ত বোধ করতে পারেন কিংবা অসুবিধা হতে পারে বা নিজের অসর্কতার কারণে ব্যক্তিগত বিষয়গুলো অন্যরা জেনে যেতে পারেন, তা নিয়ে অনেকেই আজকাল মাথা ঘামায় না৷
অপেক্ষার শেষ নেই...
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন, গাড়ি, প্লেন বা বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হলে সকলেই কম-বেশি বিরক্ত হন, যা একেবারেই স্বাভাবিক৷ তবে অনেকে সামান্য দেরি হলেই রেগে যান এবং তা সকলের সামনে প্রকাশও করেন৷ এমন ব্যবহারও কিন্তু যথেষ্ট বিরক্তিকর!
প্রয়োজন শুধু একটু সচেতনতা, ভদ্রতা!
ফোনে একটু আস্তে কথা বলা বা আশে-পাশে শিশু বা বয়স্ক কেউ থাকলে তা বিবেচনায় নেওয়া আর অন্যের প্রতি খানিকটা শ্রদ্ধাশীল হওয়া৷ এই সামান্য সচেতনতাই কিন্তু খুব সহজে সমস্যাগুলো এড়াতে সাহায্য করবে৷
সন্তান যা শেখে...
ছবিতে দেখুন শিশুটি তার বিরক্ত প্রকাশ করছে মোবাইটি টয়লেটে ফেলে দিয়ে৷ শিশুরা ঘরে যা দেখে তাই-ই তো শেখে৷ কাজেই এ বিষয়ে মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে৷ তা না হলে পরবর্তীতে কিন্তু ফলাফল ভয়ংকর হতে পারে!
সময় জ্ঞান
কোনো জায়গায় সময়মতো পৌঁছাতে হলে অবশ্যই হাতে বাড়তি সময় রাখবেন৷ তাহলে যেমন অযথা মানসিক চাপ হবে না, তেমনি সহজে বিরক্ত হওয়ারও কারণও থাকবে না৷ অর্থাৎ যাঁরা অল্পতে বিরক্ত হন, তাঁরা অবশ্যই বিষয়টি মাথায় রাখবেন৷ কারণ এ সবই অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ আর উচ্চ রক্তচাপ যে পুরো স্বাস্থ্যর ওপর নীতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা তো আমরা সকলেই জানি৷
কেন এত রাগ?
অল্পতেই বিরক্ত হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে প্রথমেই ধরা যায় আজকের যুগের অতি ব্যস্ততা৷ সারাদিনে হাজারো কাজ, রাস্তায় রাস্তায় যানজট৷ এ সবের পর বাড়িতে ছোট-খাটো কারণে অনেকেই রেগে যান বা বিরক্ত হন৷ তবে সবকিছু একটু ভালো করে ‘প্ল্যান’ করলে এবং হাতে সময় একটু বেশি থাকলে, যে কেউ মানসিকভাবে অনেকটাই শান্ত থাকতে পারেন৷ জানান জার্মান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হাইকে স্ট্যুভেল৷