1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচন প্রস্তুতিতে বিএনপি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ মার্চ ২০১৩

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আন্দোলন কঠোর করার পাশাপাশি নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ তারা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ওপরও চাপ সৃষ্টি করতে চায়৷

https://p.dw.com/p/180w0
ছবি: DW

সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে আছে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দল৷ তাদের দাবি, আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে৷ এই দাবি আদায়ের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে নির্বচন কমিশনকে কী করতে হবে, তাও স্পষ্ট করছে৷ বুধবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল কমিশনে গিয়ে কিছু লিখিত দাবি পেশ করেছে৷

এর মধ্যে অন্যতম হল আগামী নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ তারা বলেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷ ৩ পৃষ্ঠার এই চিঠিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিএনপি আপত্তি জানিয়েছে৷ বলেছে, এটা সরকারের নির্দেশে করা হচ্ছে৷ আর ৫ লাখ ভোটারের হদিস নেই বলেও অভিযোগ করা হয়েছে৷ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এই চিঠি গ্রহণ করেছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক৷ তিনি বলেছেন, বিএনপির অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়৷ তিনি বলেন তাদের দাবি রাজনৈতিক এবং তা রাজনৈতিকভাবেই দেখা হবে৷

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, বিএনপি তার চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের কৌশল হিসেবেই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তাদের দাবি জানিয়েছে৷ তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোন শর্তে কাজ করবেন, তার ইঙ্গিত দিচ্ছেন৷ তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর বিএনপি একধরনের অনাস্থা প্রকাশ করে আসছিল৷ এবার হয়তো তারা যদি এই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করতে হয়, তার এক ধরণের ক্ষেত্র প্রস্তুতে নেমেছে৷ তাঁর মতে, এটা অনেকটা দুধারী তলোয়ারের মত৷ সরকার বিরোধী আন্দোলনও চালিয়ে নেয়া, আবার নির্বাচন কমিশনকেও চাপে রাখা৷ যাতে নির্বাচন কমিশন একপাক্ষিকভাবে এগিয়ে না যায় তার নজরদারি৷ এতে নির্বাচন কমিশনও সতর্ক থাকবে বলে মনে করেন তিনি৷

অন্যদিকে বুধবারের মধ্যে বিএনপি আটক ১৫৪ জন নেতা-কর্মীকে মুক্তির দাবি জানান হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁরা মুক্ত হননি৷ তাদের মধ্যে ১৫১ জনের প্রত্যেককে ৮ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে৷ আর জয়নুল আবদীন ফারুক, রহুল কবির রিজভী এবং আমানউল্লাহ আমানের জামিন এবং রিমান্ডের আবেদন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠান হয়েছে৷ বিএনপি এর প্রতিবাদে আরো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য