বিপিন গনোত্রা কিন্তু সরকারি দমকল বিভাগের কোনো কর্মী নন৷ সে অর্থে আগুন নেভানোর কোনোরকম প্রশিক্ষণও তাঁর ছিল না৷ কিন্তু নিজের দাদাকে আগুনে পুড়ে, এক মাস হাসপাতালে থেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষে হার মানতে দেখেছেন বিপিন৷
তখনই ঠিক করেন, চোখের সামনে এভাবে আর কাউকে মরে যেতে দেখবেন না৷ চেষ্টা করবেন বাঁচানোর৷ তাই নিজের জীবন বাজি রেখে আগুন থেকে মানুষকে বাঁচান বিপিন গনোত্রা৷ দমকলের লোকেরা প্রথমে তাঁকে পাত্তা দিত না, বরং বাধা দিত৷ বিপদ হতে পারে, এই আশঙ্কায় দূরে সরিয়ে দিত৷ অবশ্য অবশেষে দমকল বাহিনীও মেনে নিয়েছে বিপিনের আন্তরিকতা, অধিগত দক্ষতা৷ বেনজিরভাবে দমকল থেকে বিপিন গনোত্রাকে স্বেচ্ছাসেবকের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে৷ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁকে পরতে দেওয়া হয়েছে দমকল কর্মীদের সরকারি উর্দি৷ আগুনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিপিন এখন একজন নির্ভরযোগ্য স্বেচ্ছা সৈনিক৷ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন তিনি৷