আকর্ষণের কেন্দ্রে ভেনিস কার্নিভাল
চোখের সামনে কেউ খেয়ে ফেলছে আগুন৷ বল নিয়ে জাগলিং করতে করতে দু’টো বল হয়ে গেল তিনটে৷ এমনই নানান রঙিন কাণ্ড নিয়ে শুরু হয়ে গেছে ভেনিস কার্নিভাল৷ ইউরোপের অন্যতম কার্নিভাল৷
খেলার শহর
রিও ডি জানেরোর কার্নিভাল পৃথিবী বিখ্যাত৷ ভেনিস কার্নিভালের স্থান হতে পারে সম্ভবত ঠিক তার পরেই৷ প্রতিবছর ১৬ দিন ধরে চলে এই উৎসব৷ এবারের উৎসব শুরু হয়েছে ২৭ জানুয়ারি৷ চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ এ বছরের থিম, ‘সৃজনশীল: খেলার শহর’৷
শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য
শোনা যায়, ভেনিস কার্নিভাল শুরু হয়েছিল ১১৬২ সালে৷ ভেনেশিয়ান রিপাবলিকের জয় উদযাপন করতে সৈন্যরা প্রথম এই কার্নিভাল শুরু করেন৷ তারপর থেকে প্রতি বছর এই সময়ে উদযাপিত হয় এই কার্নিভাল৷ যদিও রোমান সাম্রাজ্যের সময় কিছুদিন এই কার্নিভাল বন্ধ থাকে৷ ১৯৭৯ সাল থেকে সরকারি ভাবে এই উৎসব উদয়াপন শুরু হয়৷
মুখোশ উৎসব
ভেনিস কার্নিভালের চমক হল মুখোশ৷ নানা ধরনের মুখোশ পরে স্থানীয় মানুষদের ঘুরতে দেখা যায়৷ তবে এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্লেগের চিকিৎসকের মুখোশ৷ কীভাবে এই মুখোশের আবিষ্কার হয়েছিল, কারও জানা নেই৷ প্রতি বছর সেরা মুখোশের জন্য পুরস্কারও দেওয়া হয় স্থানীয় মানুষদের৷
বলের উৎসব
অসাধারণ ডিনার আর নানারকম ঐতিহ্যের বল, এক কথায় এই হলো ভেনিস উৎসব৷ যা দেখতে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান ভেনিসে৷ তবে টিকিটের দাম অনেক৷ সময় সময় যা ছাড়িয়ে যায় ১০০ ইউরো-রও বেশি৷
পার্টির বিশ্ব
সরকারি হিসেব বলছে, ইদানীং সারা পৃথিবীর প্রায় ৩ মিলিয়ন মানুষ ভেনিসে আসেন উৎসবে যোগ দিতে৷ উত্তাল মদ্যপান আর নাচের মাধ্যমে সকলে কার্নিভালকে স্বাগত জানান ভেনিসের বিখ্যাত সেন্ট মার্কস স্কোয়্যারে৷
আলোর বর্ণমালা
আগুন নিয়ে খেলা আর ক্যানালে নানারকম খেলা দেখানো ভেনিস উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ৷ উৎসবের দিনগুলোতে ক্যানালের ধারে দাঁড়িয়ে নানারকম আগুনের খেলা দেখান ফায়ার ইটাররা৷