1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এএলএস চিকিৎসায় আশার আলো

২৮ জুলাই ২০১৬

‘আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ' শুধুই একটি ভাইরাল ক্যাম্পেইন ছিল না৷ কারণ এ থেকে তোলা অর্থায়নে হয়েছে এএলএস-এর মতো একটি অসুখ নিয়ে গবেষণা৷ আবার একটি গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে এই মরণব্যাধির চিকিৎসায় নতুন পথের দিশাও৷

https://p.dw.com/p/1JWwr
আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ
ছবি: Getty Images

২০১৪ সালে শুরু হওয়া ‘এএলএস আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ' ছিল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সফলতম ভাইরাল ক্যাম্পেইনগুলোর একটি৷ অ্যামিওট্রপিক ল্যাটেরাল সক্লেরোসিস বা এএলএস নেমের একটি স্নায়ুবিক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করাই ছিল এই অভিনব প্রচারণাটির উদ্দেশ্য৷ এতে অংশগ্রহণকারীকে তাঁর নিজের মাথায় এক বালতি বরফ ঠান্ডা পানি ঢেলে দিয়ে তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপলোড করতে হতো, এবং সেখানে অন্যদের নাম ‘ট্যাগ' করে তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই কাজ করতে চ্যালেঞ্জ করতে হতো৷ একই সঙ্গে যাঁকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং চ্যালেঞ্জকারী – উভয়েই চাইলে এএলএস ব্যাধির গবেষণার জন্য অর্থ অনুদান দিতে পারতেন৷

বলা বাহুল্য, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে এই ক্যাম্পেইন: দেড় মাসে ১২ লক্ষ ভিডিও পোস্ট করা হয় ফেসবুকে, টুইটারে মাত্র ১৯ দিনেই এর উল্লেখ হয় ২২ লক্ষ বার৷ যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, পপ তারকা জাস্টিন বিবার ও টেইলর সুইফ্ট থেকে শুরু করে বাস্কেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমস, অভিনেতা হিউ জ্যাকম্যান, ফেসবুকের মার্ক সাকারবার্গ, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই চ্যালেঞ্জে অংশ নেন৷

তবে শুধু প্রচারণা ও জনপ্রিয়তা নয়, এই ক্যাম্পেইন থেকে উঠে আসে বড় অঙ্কের অর্থও, যা ব্যয় হয় এএলএস-এর গবেষণায়৷ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এএলএস অ্যাসোসিয়েশনেই ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থসাহায্য পৌঁছায়, যার পাশাপাশি অনুদান পায় এএলএস নিয়ে কাজ করা কানাডা, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডের সংস্থাগুলোও৷ আর এবার, অবশেষে, সেই অর্থায়নে চালানো ছয়টি গবেষণার একটি থেকে এসেছে আশার খবর৷

এএলএস অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে যে, এএলএস আইস বাকেট চ্যালেঞ্জের অর্থায়নে চালানো প্রজেক্ট মাইন এনইকে১ নামে একটি জিন আবিষ্কার করেছে, এএলএস রোগে যার অবদান রয়েছে৷ নেচার ম্যাগাজিনের জেনেটিক্স বিভাগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে এ তথ্য৷ বংশানুক্রমিকভাবে সংক্রমিত এএলএস নিয়ে সবচেযে বড় গবেষণা প্রকল্প প্রজেক্ট মাইন৷ ১১টি দেশের ৮০ জন বিজ্ঞানী এএলএস আক্রান্ত পরিবারগুলোর জিন বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন৷ এই ফলাফল এএলএস-এর চিকিৎসায় নতুন জিন থেরাপি নির্ণয়ে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তাঁরা৷

ব্যাপক জনপ্রিয়তার পরও কিন্তু অনেকেই আইস বাকেট চ্যালেঞ্জকে একটি ‘স্টান্ট' ও নির্বুদ্ধিতা বলে অভিহিত করেছিলেন৷ তবে এখন সেটা ভুল প্রমাণিত হওয়ায় নিশ্চয়ই তাঁরা কেউ কষ্ট পাবেন না৷ মাথায় বরফ পানি ঢেলে যদি মরণব্যাধি থেকে সুস্থ হবার উপায় বের হয়, তবে মন্দ কি?

সংকলন: ফাহমিম ফেরদৌস

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য