আইভরি কোস্টে ওয়াতারার হোটেলে বাগবোর সেনাদের হামলা
১০ এপ্রিল ২০১১আইভরি কোস্ট
সেখানে চলছে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ৷ দিন কয়েক আগে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট আলাসানে ওয়াতারার সমর্থিত বাহিনী আত্মস্বীকৃত প্রেসিডেন্ট লোরঁ বাগবোর বাড়িতে হামলা করেছিল৷ কাল শনিবার সেটা ফিরিয়ে দিয়েছে বাগবোর অনুগত বাহিনী৷ জানা গেছে, বিকেলের দিকে ওয়াতারা যে হোটেলে থেকে তাঁর গঠিত সরকার পরিচালনা করছেন সেখানে হামলা চালায় বাগবোর বাহিনী৷ জাতিসংঘের মুখপাত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এই খবর দিয়েছেন৷ তবে বাগবোর মুখপাত্রের দাবি, এটা সত্যি নয়৷ উল্টো জাতিসংঘ এই কথা বলায় সংস্থাটির সমালোচনা করেছেন বাগবোর মুখপাত্র৷ তিনি বলছেন, এটা আবারও প্রমাণিত হলো যে, জাতিসংঘ এখানে পক্ষপাতিত্ব করছে৷
লিবিয়া
বিদ্রোহীরা ক্রমাগত মার খেয়ে যাচ্ছে৷ গতকাল শনিবার মিসরাতায় গাদ্দাফি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন বিদ্রোহী সেনা মারা গেছেন বলে জানিয়েছে খোদ বিদ্রোহীরাই৷ তারা বলছে, গাদ্দাফি বাহিনী মিসরাতা শহরের তিন দিক দিয়ে হামলা করেছিল৷ তবে তারপরও শহরটির দখল এখনো তাদের কাছেই রয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহীরা৷ উল্লেখ্য, মিসরাতার অবস্থান রাজধানী ত্রিপোলি থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে৷ এবং এটা একটা উল্লেখযোগ্য বন্দর৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অনেকদিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে গাদ্দাফির এই বন্দরটি প্রয়োজন৷ সেজন্য মিসরাতার দখল নিতে তিনি সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ অন্যদিকে বিদ্রোহীরা চাইছে যে করেই হোক শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে৷ কারণ এটিই পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র শহর যেটার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের কাছে৷
এদিকে অন্য একটি খবরে জানা গেছে, আরেক শহর ব্রেগার আকাশে থাকা বিদ্রোহীদের দুটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে গাদ্দাফি বাহিনী৷ লিবিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন৷ এছাড়া তিনি ন্যাটোর সমালোচনা করেছেন৷ কারণ তিনি বলছেন জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লিবিয়ার আকাশে এখন উড়াল নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিদ্রোহীদের হেলিকপ্টার উড্ডয়নের অনুমতি দিয়েছে ন্যাটো৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই