আইফোন নিয়ে কিছু মজার তথ্য
আধুনিক এবং বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই স্মার্টফোন অ্যাপল-এর ৬৩ শতাংশ আয়ের উৎস৷ আইফোন সম্পর্কে আরো কিছু মজার তথ্য পাবেন এখানে৷
এটা ঠিক: ‘পার্পেল’
আইফোন তৈরির প্রাথমিক স্তরে, যখন বিভিন্ন আইডিয়া বিবেচনা করা হচ্ছিল, তখন অ্যাপল এই প্রকল্পের সাংকেতিক নাম দেয় ‘পার্পেল’৷ অ্যাপল-এর এক সাবেক নির্বাহী জানান, পার্পেল টিমের অফিস অনেকটা কলেজ ডর্মের মতো ছিল৷ সেখানে পিৎসার গন্ধ থেকে শুরু করে ‘ফাইট ক্লাবের’ নিয়মকানুন সবই ছিল৷
সঠিক সময় প্রদর্শন
স্টিভ জবস ২০০৭ সালের ২৯শে জুন সকাল ৯:৪২-এ প্রথম আইফোন জনসম্মুখে প্রকাশ করেন৷ মজার ব্যাপর হচ্ছে, ‘আই গড’ জবসের পেছনে প্রদর্শিত আইফোন-এর ছবিতে ঠিক এই সময়টাই প্রদর্শন করা হয়েছিল তখন৷ অ্যাপল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সময়ের ব্যাপারে এই সচেতনতা দেখিয়েছে৷ তবে ২০১০ সালে আইপ্যাড প্রকাশের সময় এক মিনিট এগিয়ে গিয়েছিল তারা৷
পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি
প্রথম আইফোন-এর দাম ছিল ৫৯৯ মার্কিন ডলার৷ তবে সেসময় আইফোন-এ যেসব কাজ করা যেত তা নব্বইয়ের দশকে করা যায় এমন ডিভাইসগুলো কিনতে গেলে খরচ পড়তো ৩,০০০ মার্কিন ডলার৷ এটা একইসঙ্গে ছিল কম্পিউটার, সিডি প্লেয়ার, ফোন এবং আনসারিং মেশিন৷ অ্যাপল যদি গত দশকের বদলে নব্বইয়ের দশকে আইফোন বানানোর চেষ্টা করতো, তাহলে একটি ফোনের পেছনেই খরচ হতো তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
আপনি মনে করছেন স্ক্রিনে চিড় ধরেছে?
অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে পকেট থেকে ফোন নিতে গিয়ে, কিংবা আঙুলের ফাঁক গলে পড়ে গিয়ে আইফোন-এর পর্দায় চিড় ধরতে পারে৷ তবে আপনি কি কখনো ১৩,৫০০ ফুট উপর দিয়ে আপনার ফোনটা নীচে ফেলেছেন? এক স্কাইডাইভার কাজটি করেছেন৷ তারপরও সেই আইফোন দিয়ে কল করা যেত৷
আইপ্যাড গড়তে গিয়ে আইফোন
গত দশকের শুরুর দিকে অ্যাপল একটি ভার্চুয়াল কি-বোর্ডযুক্ত ট্যাবলেট কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা করে৷ সেসময় অ্যাপল-এর ইঞ্জিনিয়াররা তাদের ফোনের উপর বিরক্ত ছিল৷ সেই বিরক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে আইডিয়াটা মাথায় আসে৷ আইপ্যাড-এর বদলে ছোট আকারে একই সুবিধাসম্পন্ন ফোন চালু করলে কেমন হয়? এভাবেই আসে আইফোন-এর ধারণা৷
অসংখ্য আইফোন
২০০৭ সালে মানুষের জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা আইফোন বাজারে ছাড়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় নয়শ’ মিলিয়ন আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল৷ কিন্তু চীনের অর্থনীতিতে অস্বস্তি আইফোন-এর বিক্রিতে প্রভাব ফেলার আশঙ্কা তৈরি করছে৷
‘লাভ-হেইট’ সম্পর্ক
অ্যাপল এবং স্যামসাং-এর মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের কথা কারো অজানা নয়৷ এমনকি সিরিও জানে তা৷ এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পেটেন্ট ইস্যুতে চলছে মামলা-মোকদ্দমা৷ তবে এক জায়গায় তারা কিন্তু মিত্র৷ জনশ্রুতি রয়েছে স্যামসাং-এর তৈরি কম্পিউটার চিপ হচ্ছে আইফোন-এর চালিকাশক্তি৷