1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস-এর কড়া শাস্তির দাবি

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট' গোষ্ঠী জর্ডানের বন্দি পাইলটকে যেভাবে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী তার চরম শাস্তি হওয়া উচিত বলে বিধান দিয়েছেন মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েব৷

https://p.dw.com/p/1EVw2
Al-Azhar-Universität in Kairo
ছবি: picture alliance/Bibliographisches Institut/Prof. Dr. H. Wilhelmy

প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসছে জর্ডানের অনেক মানুষ৷ সেনাবাহিনীও তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট'-কে উচিত শিক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর৷ বাদশাহ আব্দুল্লাহও হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন৷ যে নৃশংসতার সঙ্গে সে দেশের বন্দি পাইলটকে হত্যা করেছে আইএস জঙ্গিরা, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে মনে করেন তিনি৷ বাদশাহ বলেছেন, জর্ডান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নৈতিক সংগ্রাম চালাচ্ছে৷ কড়া প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে, কারণ এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শুধু জর্ডান নয়, ইসলাম ধর্ম ও তার মৌলিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাচ্ছে৷

Jordanien Hinrichtung zweier Gefängnisinsassen 04.02.2015 Polizei
প্রতিশোধ হিসেবে দু’জন বন্দিকে ফাঁসি দিল জর্ডানছবি: Reuters/M. Hamed

সম্ভবত জানুয়ারির শুরুতেই জর্ডানের বন্দি পাইলটকে হত্যা করে বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রতারণা করে চলছিলো ‘ইসলামিক স্টেট'৷ তাই পাইলটের হত্যার খবর পেয়ে সবার আগে সেই দুই বন্দির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে জর্ডানের প্রশাসন৷

মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীন পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় নিজেদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী সনাতন ইসলামি শাসনব্যবস্থা কার্যকর করার অঙ্গীকার করে চলেছে আইএস৷ তাদের এই অভিসন্ধি সম্পর্কে ইসলামি দেশগুলির প্রতিক্রিয়া এতকাল যথেষ্ট নরম ছিল বলে বার বার অভিযোগ উঠেছে৷ অ্যামেরিকার নেতৃত্বে সামরিক অভিযানে যোগ দেওয়া সত্ত্বেও মতাদর্শের প্রশ্নে আইএস-এর বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে যেতে দ্বিধা করে এসেছে অনেক ইসলামি দেশ৷ কিন্তু জর্ডানের বন্দি পাইলটকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারার ঘটনা সেই দ্বিধা অনেকটা কাটিয়ে তুলছে৷

সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায়ের জ্ঞানচর্চার পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় কড়া ভাষায় আইএস-এর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েব এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে বলেন, পবিত্র এই পদক্ষেপের সেই শাস্তি হওয়া উচিত, যা কোরান অনুযায়ী দুর্নীতিপরায়ন অত্যাচারীদের জন্য স্থির করা হয়েছে – হত্যা, ক্রুশবিদ্ধ করা অথবা হাত-পা কেটে দেওয়া৷ স্পষ্ট ভাষায় তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্মে নিরাপরাধ মানুষের আত্মার হত্যা নিষিদ্ধ৷ তাছাড়া মানুষের আত্মাকে এভাবে অগ্নিদগ্ধ বা অন্য কোনো ভাবে বিকৃত করাও নিষিদ্ধ৷ এমনকি শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা তারা হামলা চালালেও এর বিধান নেই৷

এদিকে আইএস দমনে প্রায় ৬০টি দেশের যে আন্তর্জাতিক জোট সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তাতে কিছুটা ফাটল দেখা যাচ্ছে৷ সংযুক্ত আরব আমিরাত আইএস-নিয়ন্ত্রিত এলাকার উপর বিমান হামলায় আর অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে৷ নিজেদের সামরিক পাইলটদের সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত৷ তারা অ্যামেরিকার উদ্দেশ্যে ভবিষ্যতে পাইলটদের দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য