1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরের সমর্থন পেলেন জার্মান চ্যান্সেলর

১৩ জুন ২০১৮

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুয়রৎস মঙ্গলবার বার্লিনে বৈঠক করেছেন৷ এরপর সংবাদ সম্মেলনে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে ম্যার্কেলের নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন কুয়রৎস৷

https://p.dw.com/p/2zR0s
Deutschland PK Bundeskanzlerin Angela Merkel und österreichischer Bundeskanzler Sebastian  Kurz in Berlin
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ নিয়েনিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ম্যার্কেলের বিবাদ রয়েছে৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার চান, যাঁরা আশ্রয় পাওয়ার লক্ষ্যে জার্মানিতে প্রবেশ করতে চান তাঁদের জার্মান সীমান্তেই বাধা দিতে৷ কিন্তু ম্যার্কেল চান, পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে সীমান্ত আছে সেটিকে আরও সুরক্ষা করতে৷

চ্যান্সেলরের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন দ্বিমত থাকার কারণে সেহোফার তাঁর অভিবাসন বিষয়ক ‘মাস্টার প্ল্যান' প্রকাশ স্থগিত করেছেন৷ মঙ্গলবার সেটি প্রকাশ করার কথা ছিল৷

অস্ট্রিয়ার ৩১ বছর বয়সি চ্যান্সেলর কুয়রৎস বলেছেন, তিনি ইউরোপের সীমান্ত ও উপকূল রক্ষাকারী বাহিনী ফ্রন্টেক্স-এর কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করার পক্ষে৷ এছাড়া ঐ সংস্থার তহবিল ও কর্মপরিধি আরও বাড়ানোর প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা জানিয়েছেন৷ সংবাদ সম্মেলনে দেয়া কুয়রৎসের এই বক্তব্য শুনে ম্যার্কেলকে খুশি হতে দেখা গেছে৷

কুয়রৎস বলেন, তাঁর লক্ষ্য, ‘‘অস্ট্রিয়া, জার্মানি কিংবা সুইডেনে আশ্রয়ের আবেদনের লক্ষ্যে ইউরোপের মধ্যে মানুষের ঢুকে পড়া বন্ধ করা৷''

ব্রেক্সিট পরবর্তী ইইউ নিয়েঅস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরের বক্তব্যেও খুশি হয়েছেন ম্যার্কেল৷ কারণ কুয়রৎস বলেছেন, তিনি এই বিষয়ে দেয়া ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর প্রস্তাব সমর্থন করেননা৷ উল্লেখ্য, মাক্রোঁ তাঁর প্রস্তাবে ব্রাসেলসের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন৷ তিনি একজন ইউরোপীয় অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবও করেছেন৷

সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে ম্যার্কেল বলেন, সম্প্রতি ক্যানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ বৈঠক থেকে ফেরার পর তাঁর আরও মনে হয়েছে যে, পররাষ্ট্র ইস্যুতে ইইউকে এক হয়ে কথা বলতে হবে৷

জেফারসন চেজ/জেডএইচ