1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাডমিন্টন বিতর্ক

২ আগস্ট ২০১২

অলিম্পিকের মতো কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কোনো খেলোয়াড় বা অ্যাথলিট’এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দৃষ্টান্ত বিরল নয়৷ কিন্তু একটি ঘটনার জের ধরে গোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি ঘনঘন দেখা যায় না৷

https://p.dw.com/p/15iY6
Source News Feed: EMEA Picture Service ,Germany Picture Service An official (2nd L) speaks to players from China and South Korea during their women's doubles group play stage Group A badminton match during the London 2012 Olympic Games at the Wembley Arena July 31, 2012. Tournament officials are investigating a women's badminton doubles match between China and South Korea at the London Games on Tuesday after both teams appeared determined to lose. Spectator displeasure and referee intervention did nothing to encourage the Chinese pair of Yu Yang and Wang Xiaoli and South Korean duo Jung Kyung-eun and Kim Ha-na to raise their game, a dead rubber at the Wembley Arena. Both teams, who have already qualified for the quarter-finals, delivered an abject performance that saw all four players miss routine shots throughout. From left: South Korea's Kim Ha-na, Jung Kyung-eun, China's Yu Yang and Wang Xiaoli. REUTERS/Bazuki Muhammad (BRITAIN - Tags: SPORT BADMINTON SPORT OLYMPICS TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

লন্ডন অলিম্পিকে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতাকে ঘিরে একের পর এক অপ্রিয় ঘটনার ফলে অলিম্পিকে এই ক্রীড়ার ‘ফরম্যাট' বা কাঠামোর মৌলিক সংস্কারের দাবি উঠছে৷ চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মোট ৪টি টিমের সাত জন খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ৷

চীনের ইয়ু ইয়াং অলিম্পিক থেকে বাদ পড়ার অপমান সহ্য করতে না পেরে ব্যাডমিন্টন থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা করেছেন৷ টেনসেন্ট মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটাই আমার শেষ প্রতিযোগিতা৷ বিদায় আমার প্রিয় বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন৷ আপনারা নির্মমভাবে আমাদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছেন৷''

ইন্দোনেশিয়ার ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় গ্রেসিয়া পোলি ও মেইলিয়ানা জাউহারি'কে মেয়েদের ডাবলস টিম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রাথমিক একটি ম্যাচে তারা ইচ্ছে করে খারাপ খেলে হেরে যাবার চেষ্টা করেছে, যাতে নক-আউট পর্যায়ে গিয়ে তাদের কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে না হয়৷ বাকিদের ক্ষেত্রেও অভিযোগ একই৷ পরবর্তী ম্যাচে প্রতিপক্ষ কে, তা আগে থেকে হিসাব-নিকাশ করে বিশেষ ম্যাচে খারাপ খেলে হেরে যাবার চেষ্টা করেছেন অ্যাথলিটরা৷

এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, অ্যাথলিট'দের এমন হিসাব-নিকাশ করার সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি? ‘ফরম্যাট' বা কাঠামোর মধ্যে এমন দুর্বলতা এল কীভাবে? অতীতে অন্য যে কোনো প্রতিযোগিতার মতো ব্যাডমিন্টনেও ‘নক-আউট'এর মাধ্যমে একমাত্র সফল খেলোয়াড়রাই অগ্রসর হতেন৷ ফলে কোন গ্রুপ থেকে কোন কোন খেলোয়াড় এগিয়ে যাবেন, আগেভাগেই তা জানার কোনো উপায় ছিল না৷ এরপর অলিম্পিকের নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে আচমকা এই পদ্ধতি বদলে ফেলা হয়৷ প্রথম পর্যায়ে ‘রাউন্ড রবিন স্টেজ' এবং তারপর ‘নক-আউট' পর্যায়ের নতুন নিয়ম চালু করা হয়৷

ইন্দোনেশিয়া অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ দেশের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী আন্ডি মালারাংগেং বলেন, ‘‘ইন্দোনেশিয়া চিরকাল অলিম্পিকের মূলমন্ত্র ও মূল্যবোধকে মর্যাদা দিয়ে এসেছে৷ কিন্তু আমরা বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন'এর উদ্দেশ্যে এই ক্রীড়ার কাঠামো নতুন করে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি৷''

এসবি / ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য