1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অলিম্পিকে জুয়াড়িদের দৌরাত্ম্যের মোকাবিলা করতে এগিয়ে এলো ‘বেটফেয়ার’

১২ জানুয়ারি ২০১২

আসন্ন লন্ডন অলিম্পিকের সময় বে-আইনি জুয়া চক্রের মোকাবিলা করতে পরস্পরের সহযোগিতা করবে আইওসি ও ‘বেটফেয়ার’৷

https://p.dw.com/p/13iKV
২০১২’র লন্ডন অলিম্পিকের মুদ্রা - কিন্তু খেলাধুলা নিয়ে জুয়াতেও ‘ফেয়ার প্লে’ চাইছবি: picture-alliance/dpa

খেলাধুলার জগতে আজকাল আর্থিক দিকটি যেভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, তা অনেকেরই ক্ষোভের কারণ৷ তার উপর খেলার মাঠে জুয়াড়িদের আধিপত্যও বেড়ে যাচ্ছে৷ শুধু বাজি ধরা নয়, আগেভাগেই খেলার ফলাফল নির্ধারণ করা বা ‘ম্যাচ ফিক্সিং'এর ঘটনাও বিরল নয়৷ এমন কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস হয়ে গেলে তখন কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন, তদন্ত চালানো হয়, ধরা পড়লে কখনো দোষীদের শাস্তি হয়৷ কিন্তু অনেকে মনে করেন, খেলাধুলার জগতে জুয়ার বিষয়টি আসলে অত্যন্ত গভীর৷ যা জানা যায়, তা কিছুই নয়৷

এবার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জুয়াড়িদের মোকাবিলা করতে কোমর বেঁধে আসরে নেমেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি – আইওসি৷ এবছর লন্ডন অলিম্পিকের সময় জুয়াড়িদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখতে তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুয়া এক্সচেঞ্জ ‘বেটফেয়ার'এর সহযোগিতা আদায় করতে পেরেছে৷ বৃহস্পতিবারই এই মর্মে দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বোঝাপড়া হয়েছে৷ ‘বেটফেয়ার' জানিয়েছে, অলিম্পিক চলাকালীন সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলেই তারা জুয়াড়িদের নাম ও লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তারা পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নেবে৷ সংস্থার কর্মকর্তা মার্টিন ক্রাডেস বলেন, এই সহযোগিতার ফলে বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ নেই৷ কারণ এক্ষেত্রে আইওসি'র মত ক্রীড়া সংগঠন ও বেটফেয়ারের মতো বাণিজ্যিক সংস্থার স্বার্থের কোনো সংঘাত নেই৷ স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বজায় রেখে ম্যাচের আগে বাজি ধরলে কোনো সমস্যা নেই৷ তাছাড়া ‘বেটফেয়ার'এর নিজস্ব এক ইউনিট আছে, যার কাজই হলো সন্দেহজনক কার্যকলাপের উপর নজর রাখা৷ বিশেষ সফটওয়্যার কাজে লাগিয়ে তারা এমন কার্যকলাপ সনাক্ত করতে পারে, বলেন তিনি৷

আইওসি'র প্রধান জাক রগে আসন্ন অলিম্পিক প্রতিযোগিতার সময় বে-আইনি জুয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ এছাড়া ব্রিটেনের অলিম্পিক বিষয়ক মন্ত্রী হিউ রবার্টসন চলতি মাসের শুরুতেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, যে বে-আইনি জুয়ার কারণে লন্ডন অলিম্পিকের ভাবমূর্তির ক্ষতি হবে৷ কারণ আগেভাগে ‘ম্যাচ ফিক্সিং'এর সন্দেহ আরও বেড়ে যাবে৷ ঘুস নিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং'এর অভিযোগে গত বছর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সলমন বাট ও বোলার মহম্মদ আসিফের কারাদণ্ডের ঘটনা এখনো কেউ ভুলতে পারে নি৷ অলিম্পিকের সময় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না কোনো পক্ষ৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য