1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অফিসটা কি খেলার জায়গা?

৪ এপ্রিল ২০১৭

অফিসটা কাজের জায়গা, খেলার জায়গা নয়, এটা যাঁরা বলতেন অথবা ভাবতেন, তাঁদের দিন গেছে৷ হালফ্যাশনের কোম্পানিগুলোতে অফিসেই থাকে জিম, কাফে, টেবিল টেনিস খেলার জায়গা৷ কিন্তু কেন?

https://p.dw.com/p/2acwJ
Arbeitplatz Arbeiterin Müdigkeit
ছবি: Fotolia/stockyimages

হালফ্যাশনের কোম্পানিতে কাজ করার মজা

টেবিল টেনিস অথবা বিলিয়ার্ড খেলা; তারপর জিম আর কাফে হয়ে শেষমেষ আবার কাজে ফেরা৷ ভালো শ্রমিক-কর্মচারীদের ধরে রাখার জন্য কোম্পানিরা আজকাল নানারকমের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে – বিশেষ করে সেই সব সংস্থা, যারা তাদের কর্মীদের সৃজনশীলতার উপর নির্ভর৷ কর্মীদের এমন একটি পরিবেশ দিতে হবে, যা থেকে তারা সৃজনীশীল হবার প্রেরণা পায়৷ বহু স্টার্ট-আপ কোম্পানির অফিস বলতে একটা বড় হল, কোনো পার্টিশান বা কিউবিকল-এর ব্যবস্থা নেই৷

এখন প্রশ্ন হলো, কী ধরনের অফিস মানুষজনকে সৃজনীশীল করে তোলে? কী ধরনের পরিবেশ থেকে তারা প্রেরণা পায়? ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন৷

স্টুটগার্টের ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের স্টেফান রিফ বললেন, ‘‘মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে, নতুন জিনিস খুঁজতে হবে, অন্য মানুষদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতে হবে৷ আমরা দেখেছি যে, কাজের জায়গা থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অনুপস্থিত থাকলেই নতুন নতুন আইডিয়া আসে, যা নিয়ে আবার কাজে ফেরা যায়৷''

সৃজনীশীল পরিবেশ

ইনস্টিটিউটের অফিসগুলো সর্বাধুনিক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে৷ অফিসের বিভিন্ন তলা পরস্পরের সঙ্গে একটি খোলা সিঁড়ি দিয়ে যুক্ত – এর ফলে নাকি কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে৷ কিন্তু যে অখণ্ড মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে চায়, তার জন্য নিভৃত জায়গাও আছে৷

অফিসের মধ্যে পার্টিশানগুলো আওয়াজ কমানোর কাজ করে৷ কারোর কোনো বাঁধা চেয়ার-টেবিল নেই; প্রত্যেকে তার বসার জায়গা প্রতিদিন নতুন করে খুঁজে নেয়৷ অফিসের পরিবেশ হবে কর্মীদের প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের কথা ভেবে – সেই পরিবেশে বৈচিত্র্য থাকা চাই, একঘেয়ে হলে চলবে না৷

যে সব কোম্পানি তাদের অফিস বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী সাজাতে চায়, তাদের জন্য একটি থ্রি-ডি-সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে, যা দিয়ে অফিসের ঘরগুলো ‘ভার্চুয়াল' পদ্ধতিতে ঘুরে দেখা যায়৷ এর ফলে আগে থেকেই বোঝা যায়, অফিসের পরিবেশ কর্মীদের ভালো লাগবে কিনা৷ মাইক্রোসফট যেমন জার্মানিতে তাদের মুখ্য কার্যালয় তৈরি করেছে ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায়৷ আলোর প্রভাব নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে৷ এভাবে মিটিং রুমে দিবালোকের অনুকরণ করা যায়, এমনকি সূর্যাস্তও বাদ যায় না৷

‘কিকার' ছাড়া অফিস হয় না

কাজের দুনিয়া বদলে যাচ্ছে, পুমা-র মতো বড় বড় কোম্পানিগুলি তা উপলব্ধি করেছে৷ এখানে কর্মীদের গড় বয়স ৩৩৷ সারা বিশ্ব থেকে কমবয়সি মানুষজন আসে জার্মান মফঃস্বলের হ্যার্ৎসোগেনাউরাখে, যেখানে পুমা-র অফিস৷ তার খানিকটা এই বিধিবর্জিত কাজের পরিবেশের জন্যও বটে৷

নতুন অফিসরুমগুলো ডিজাইনারদের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে৷ সহজ-সরল ঘরগুলিতে সৃজনীমূলক কাজ সহজ হবে, এই হলো আশা৷ কর্মীরা নিজেই বেছে নিতে পারেন, তারা একই টেবিলে কাজ করবেন, নাকি যখন যেখানে চান, সেখানে বসে কাজ করবেন৷

পুমা-র মানবসম্পদ ম্যানেজার ডিটমার ন্যোস সহকর্মীদের জিজ্ঞাসা করেছেন, এরকম খোলামেলা, যৌথ অফিস তাদের কেমন লাগে – কেননা একা নিজের অফিস পাবার উপায় নেই৷ ন্যোস বলেন, ‘‘নীতিগতভাবে দু'টি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ, প্রথমত চোখের আড়াল আর দ্বিতীয়ত কথাবার্তা যাতে অন্যদের কানে না যায়৷ এই দু'টি পদক্ষেপ সঠিকভাবে নেওয়া হলে, ‘খোলা অফিস' নীতিতে ভালোই সাড়া পাওয়া যায়৷''

টেবিল-ফুটবল খেলার ‘কিকার'-টা আছে টিফিনের সময় একটু মজা করে নেওয়ার জন্য৷ স্টার্ট-আপ-দের দেখাদেখি বড় বড় থ্রিডি প্রযুক্তির সাহায্যে ঐতিহাসিক সম্পদ রক্ষার উদ্যোগকোম্পানিগুলোও এখন কিকার চালু করেছে৷

ক্লাউডিয়া লাসাক/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য