1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে মুক্তিপণ নিয়ে ধোঁয়াশা

৫ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন ‘মুক্তিপণের বিনিময়ে' ছাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম৷ তবে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও পরিবার তা স্বীকার করেনি৷

https://p.dw.com/p/4eSfB
সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখা
সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখায় হামলা চালিয়ে ম্যানেজারকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মিছবি: Bating Marma/DW

বাংলাদেশের ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টার একাধিক পুলিশ সূত্রের বরাতে মুক্তিপণের বিনিময়ে নেজাম উদ্দীন ছাড়া পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুমা বাজারের বেথেলপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়৷ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বান্দরবানের র‍্যাব-১৫-এর একটি দল তাকে উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে বান্দরবান সদরে র‍্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসে৷

এর আগে মঙ্গলবার রাতে রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে সশস্ত্র একটি দল৷ এ সময় তারা ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে৷ তাকে ছাড়তে অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি ডেইলি স্টারকে জানান রুমা উপজেলার ইউএনও দিদারুল আলম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) মাহফুজুর রহমান৷

তাকে উদ্ধারের পর  নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় সন্ত্রাসীদের হাতে৷ এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে বাজারের পাশে পাওয়া যায়৷ মুক্তিপণ নিয়ে দেন দরবার করেছেন পরিবারের সদস্যরা৷ অক্ষতভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে আশ্বাস দেওয়ার পরই টাকা দেওয়া হয়৷''

আরেক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘নেজামের ভাই পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান তার ভাইকে উদ্ধারে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন৷ তিনিই নেগোসিয়েশন করেছেন অপহরণকারীদের সঙ্গে৷''

তবে দ্য ডেইলি স্টারকে মিজানুর রহমান বলেন বলেন, ‘‘আমি আমার ভাইকে অক্ষত পেয়েছি এতেই আমি ও আমার পরিবার খুশি৷ তাকে বাজারের পাশে পাওয়া গেছে৷ তিনি ভালো আছেন৷ তবে আমরা কোনো মুক্তিপণ দেইনি৷''

অন্যদিকে র‍্যাব-১৫ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘আমরা গত দুইদিন ধরে অপহরণকারীদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করার চেষ্টা করেছি৷ ফাইনালি আজ তাকে আমরা উদ্ধার করতে সমর্থ হই৷''

এফএস/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)