অন্যের টুইটার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার অভিযোগে আটক, তারপর জামিন
সৌদি আরবের কারাগারে আটক থাকা একজন মানবাধিকার কর্মীর টুইটার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার অভিযোগে আরেক মানবাধিকার কর্মী সমর বাদাউয়িকে মঙ্গলবার আটক করা হয়৷ বুধবার তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়৷
দু’বছরের মেয়ে সহ গ্রেপ্তার
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে দুই বছরের মেয়েসহ মানবাধিকার কর্মী সমর বাদাউয়িকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এরপর পুলিশ তাঁকে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে৷ সৌদি আরবে আটক থাকা ব্লগার রাইফ বাদাউয়ির বড় বোন হলেন সমর৷ বুধবার তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয় বলে জানা গেছে৷
অন্যের টুইটার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার অভিযোগ
রাইফ বাদাউয়ির স্ত্রী এনসাফ হায়দার টুইটারে লিখেছেন, ‘‘@WaleedAbulkhair অ্যাকাউন্টটি পরিচালনার অভিযোগে’’ সমরকে আটক করা হয়েছে৷ টুইটার অ্যাকাউন্টটি ‘সৌদি অ্যারাবিয়া মনিটর অফ হিউম্যান রাইটস’-এর প্রধান ওয়ালিদ আবু আল-খায়ের নামের এক ব্যক্তির৷ ওয়ালিদ হলেন সমরের প্রাক্তন স্বামী৷ এ মুহূর্তে ১৫ বছরের জেল খাটছেন ওয়ালিদ৷
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
সৌদি আরবে নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সমর বাদাউয়ি৷ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ৷
যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি
নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের জন্য লড়াইয়ে সাহসিকতার জন্য ২০১২ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন সমর বাদাউয়ি৷
ছোট ভাইয়ের জন্য অনুপ্রেরণা
সমরের ছোট ভাই রাইফ বাদাউয়ি৷ ‘ফ্রি সৌদি লিবারালস’ বা ‘মুক্ত সৌদি উদারপন্থি’ নামের ওয়েবসাইটে সৌদি আরবে রাজনৈতিক ও সামাজিক ত্রুটিগুলি তুলে ধরাসহ নানা অভিযোগে ২০১৪ সালে বাদাউয়ির বিরুদ্ধে এক হাজার বেত্রাঘাত ও ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয় সৌদি আদালত৷ ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে প্রকাশ্যে ৫০ বার বেত্রাঘাতও করা হয়৷ বিষয়টি তখন আন্তর্জাতিকভাবে বেশ সমালোচিত হয়৷
বাক স্বাধীনতার প্রতীক
সারা বিশ্বে আজ বাকস্বাধীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন রাইফ বাদাউয়ি৷ স্ত্রী এনসাফ তাঁর ‘রাষ্ট্রদূত’ হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাখারভ পুরস্কার, ডয়চে ভেলের ‘‘বাকস্বাধীনতা পুরস্কার’’ সহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন উদারপন্থি এই ব্লগার৷