1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দু’মাসের মধ্যে ৪০টি রোহিঙ্গা গ্রাম বিধ্বস্ত

১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে গত মাসে যখন চুক্তি হচ্ছিল, তখনও জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছিল রোহিঙ্গাদের গ্রাম৷ এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)৷

https://p.dw.com/p/2pZ3u
Myanmar Luftaufnahme eines verbrannten Rohingya Dorfes in der Nähe von Maungdaw
ছবি: Reuters/S. Z. Tun

স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি দেখেছে, অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ৪০টি গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী৷ আগস্টের ২৫ তারিখের পর থেকে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৫৪টি গ্রাম আংশিক বা পুরোপুরি বিধ্বস্ত করা হয়েছে৷ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং উগ্রপন্থি বৌদ্ধরা তাঁদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে৷

গত ২৩শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়, দু'মাসের মধ্যে রোহিঙ্গারা কিছু শর্তের অধীনে রাখাইনে ফেরা শুরু করবে৷ বাংলাদেশে ২৫শে আগস্টের পর থেকে ৬ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে৷ এইচআরডাব্লিউ বলছে, স্যাটেলাইটের ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে, যখন এই চুক্তি স্বাক্ষর হচ্ছিল, ঠিক সেই সপ্তাহেই বেশ কিছু ভবন জ্বালিয়ে দেয়া হয়৷ চুক্তি সইয়ের সময়ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই আচরণ এটাই প্রমাণ করে যে ঐ চুক্তি ‘চোখে ধুলো দেয়া ছাড়া' আর কিছুই নয়৷

এইচআরডাব্লিউ-র এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, ‘‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে, তাই সরকার যখন বলছে, তারা নিরাপদে রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে, সেটা বিশ্বাস করা উচিত হবে না৷''

এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূত জেইদ রা'দ আল-হুসেইন বিবিসিকে দেয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘কোনো আদালত যদি মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানো হয়েছে বলে রায় দেয়, তাতে আমি বিস্মিত হবো না৷ কারণ রোহিঙ্গাদের উপর খুব পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালানো হয়েছে৷''

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

প্রতিবেদন সম্পর্কে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷