1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হ্যোনেসের কারাদণ্ড

Debarati Guha১৪ মার্চ ২০১৪

দু'কোটি ৭২ লক্ষ ইউরো কর ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট উলি হ্যোনেসকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে জার্মানির মিউনিখ শহরে অবস্থিত একটি আদালত৷ সরকারি কৌঁসুলি চেয়েছিলেন সাড়ে পাঁচ বছরের সাজা৷

https://p.dw.com/p/1BPfP

মুখ লাল করে উলি হ্যোনেস আদালতের রায় শুনেছেন৷ তাঁর কৌঁসুলিরা স্বভাবতই আশা করেছিলেন যে, যেহেতু হ্যোনেস নিজেই কর বিভাগকে তাঁর কর ফাঁকি দেওয়ার ব্যাপারে জানিয়েছেন – জার্মান আইনে যাকে বলে ‘সেলব্স্ট-আনজাইগে' বা সেল্ফ-ডিক্লারেশন – সেহেতু তাঁরও অন্য পাঁচজন ‘অপরাধীর' মতোই প্রোবেশনে সাজা পেতে হবে: অর্থাৎ কারাদণ্ড হওয়া সত্ত্বেও জেলে যেতে হবে না৷

কিন্তু যে আমলে বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংক থেকে গোপনে কপি করা সিডি জার্মান কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছাচ্ছে এবং তাঁরা ক্ষেত্র বিশেষে নগদ মূল্য দিয়ে কর ফাঁকি দাতাদের নামের তালিকা কিনছেন সে আমলে বিবেকদংশন ও পরিতাপের নিদর্শন হিসেবে ‘আত্ম-ঘোষণার' মূল্য অনেকটাই কমে এসেছে, এমনকি বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে এই নিজের-বিরুদ্ধে-মামলায়-রাজসাক্ষী-হয়ে-পার-পাওয়ার আজব প্রক্রিয়াটি নিয়ে৷

তার উপর যখন হ্যোনেসের ফাঁকি দেওয়া করের পরিমাণ শুনানির তিন দিনেই ৩৫ লাখ ইউরো থেকে, এক কোটি ৮৫ লাখ ইউরো হয়ে দু'কোটি ৭২ লাখ ইউরোয় পৌঁছায় – এবং সেই সঙ্গে জানা যায় যে, হ্যোনেস কর বিভাগকে ২০১৩ সালের গোড়াতেই এ বিষয়ে অবগত করতে পারতেন – তখন তাঁর কারাবাস এড়ানোর বাস্তবিক সম্ভাবনা তাঁর অতি বড় ভক্তদের চোখেও ক্ষীণ হয়ে আসে৷

উলি হ্যোনেস এককালে দুর্ধর্ষ ফুটবল খেলোয়াড়৷ হাঁটুর ইনজুরির জন্য খেলা ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখের তরুণতম ম্যানেজার হন, পরে প্রেসিডেন্ট৷ বায়ার্নকে বিশ্বের সফলতম এবং সর্বাপেক্ষা ধনি ক্লাবগুলির মধ্যে একটিতে পরিণত করার পিছনে উলি হ্যোনেসের অবদান কম নয়৷

হ্যোনেস নাকি সুইজারল্যান্ডে কোটি কোটি ইউরো নিয়ে বস্তুত ফাটকা খেলেছেন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে – সেখান থেকেই তাঁর বিপুল লাভালাভ এবং পরিণামে কর ফাঁকি৷ কিন্তু কাজটা খুব হিসাবী কিংবা ঠাণ্ডা মাথার কাজ হয়নি৷ শিল্পপতি হ্যোনেস, ম্যানেজার হ্যোনেস বা দাতা হ্যোনেস – যার দানের পরিমাণ পঞ্চাশ লাখের বেশি, বলে শোনা যায় – ফুটবল-পাগল এই মানুষটির এ রকম একটা ভুল হল কি করে, তা নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন অনেক জার্মান৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স) 

 LINK: http://www.dw.de/dw/article/0,,17495509,00.html