1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হৃদযন্ত্রের বারোটা বাজাতে পারে কম্পিউটার

১৯ অক্টোবর ২০১০

মোবাইলের ক্ষতি নিয়েতো অনেক কিছুই শুনেছেন৷ বিশেষ করে এর তেজস্ক্রিয়তা মস্তিষ্কের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে, হতে পারে যৌনক্ষমতা হ্রাসেরও কারণ৷ কিন্তু কম্পিউটারের এমন ক্ষতি নিয়ে কি ভেবেছেন কখনো?

https://p.dw.com/p/PhLU
সিআরটি মনিটরে ক্ষতির মাত্রা বেশিছবি: Fotolia/Norman Pogson

কম্পিউটার বা ল্যাপটপের তেজস্ক্রিয়তাও কিন্তু আপনার ক্ষতি করতে পারে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কম্পিউটার এবং এর নানা যন্ত্রপাতি বিশেষ করে প্রিন্টার, মডেম এবং তারহীন নেটওয়ার্ক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে৷ এসব থেকে নির্গত তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ ঘুমের ব্যাঘাত থেকে শুরু করে হৃদযন্ত্রের নানা অসুখ পর্যন্ত বাধাতে পারে৷ তাই, সাবধান৷

বলে বসবেন না, কম্পিউটার যে আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ৷ তেজস্ক্রিয়তার ভয়ে একেতো দূরে রাখলে চলবে না৷ না, বিজ্ঞানীরাও সেটা বলছেন না৷ বরং দিচ্ছেন কিছু সহজ বুদ্ধি-পরামর্শ৷ যেগুলো মেনে চললে খানিকটা রেহাই পাওয়া যেতেও পারে৷

কম্পিউটার মনিটরের কথাই ধরুন৷ পুরনো সিআরটি মানে বাক্স আকারের মনিটরগুলো কিন্তু বেশ ক্ষতিকর৷ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এসব মনিটর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর তাপ বিকিরণ করে৷ মনিটরের সামনের অংশ এবং আশপাশ - সবদিকেই তাপ বিকিরণ করে পুরনো মনিটরগুলো৷ ফলে শুধু আপনি নয়, আশেপাশের সবাই ক্ষতির শিকার হতে পারে এই মনিটর থেকে৷ অন্যদিকে, হালের এলসিডি মিনিটর থেকে ক্ষতিকর বিকিরণের পরিমাণ অনেক কম৷ তাই, বদলে ফেলুন মনিটর৷

Symbolfoto Wirtschaftsspionage Industriespionage Handy-Spionage Flash-Galerie
যৌনক্ষমতা হ্রাসেরও কারণ হতে পারে মোবাইলছবি: picture alliance/ZB

যদি মনিটর বদলানো একান্ত সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত বিকিরণ নিরোধক পর্দা ব্যবহার করুন৷ বাজারে মোটামুটি সস্তাতেই পাওয়া যায় এমন পর্দা৷ কিনে মনিটরের সামনের অংশে লাগিয়ে নিলেই হলো৷

এবার আসুন মনিটরে উজ্জ্বলতার বিষয়ে৷ বিজ্ঞানীরা বলছে, আপনার মনিটর যত উজ্জ্বল, তা থেকে ক্ষতিকর বিকিরণের মাত্রা তত বেশি৷ তাই নিজেকে বাঁচাতে চাইলে মনিটরের ঔজ্জ্বল্য কমাতে হবে৷ কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, উজ্জ্বলতা বেশি কমালে তা চোখের জন্য ক্ষতিকর৷ কারণ, অন্ধকার মনিটর থেকে কিছু পড়তে গেলে চোখের বেশ কষ্ট করতে হবে৷ সুতরাং মোটামুটি উজ্জ্বলতা বজায় রাখুন, আর নিজে মনিটর থকে অন্তত ৫০ থেকে ৭৫ সেন্টিমিটার দূরে বসুন৷

আপনি কম্পিউটারটিকে কোথায় রাখছেন, তার ওপরও ক্ষতির মাত্রা নির্ভর করে৷ বিশেষ করে কম্পিউটারের পেছনের অংশ কোন মানুষের কাছাকাছি রাখা উচিত নয়৷ কেননা, কম্পিউটারের সামনের দিকের চেয়ে পেছনে ক্ষতিকর বিকিরণের পরিমাণ বেশি৷ তাই, পেছন দিকটা কোন দেয়ালের দিকে রাখলেই ভালো৷

শুনতে হাস্যকর লাগতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন মরু অঞ্চলের ক্যাকটাসের কথা৷ কম্পিউটারের আশেপাশে এগুলো রাখলে নাকি বিকিরণ কম অনুভূত হয়৷ কেননা, ক্যাকটাসের রয়েছে তেজস্ক্রিয়তা শোষণের ক্ষমতা৷ তাই, সম্ভব হলে মনিটরের আশেপাশে কিছু ক্যাকটাস রেখে দিন৷

গবেষকদের দাবি, কম্পিউটারের পর্দা ক্যান্সার উৎপাদক পদার্থ নিঃসরণ করে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর৷ তা থেকে বাঁচতে চাইলে ঘরের মধ্যে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে৷ সেটা সম্ভব না হলে মনিটরের পাশে বায়ুচলনের উপযোগী ফ্যান বসিয়ে নিন৷

সর্বশেষ পরামর্শ৷ নিয়মিত বিরতিতে আপনার মুখ হালকা করে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে করে ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় পদার্থ আপনার চোখেমুখে বাসা বাঁধতে পারবেনা৷ শুধু এটুকু করেই কম্পিউটারের ক্ষতি ৭০ শতাংশ কাটানো সম্ভব৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য